চিতলমারী প্রতিনিধি:: বাগেরহাটের চিতলমারী সদর বাজার ব্যবসায়ী ব্যবস্থপনা কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনের আলোচনা-সমালোচনা উপজেলার সর্বত্র চাউর হচ্ছে। ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে বাজারের অলিগলি। ভোটারদের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। কে কাকে ভোট দিবেন, কে হারবেন, কে জিতবেন এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সদর বাজার ব্যবসায়ী ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৮ নভেম্বর রাতে বাজার ব্যবসায়ী ব্যবস্থপনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বুলু তফশীল ঘোষণা করেন। তফশীল অনুযায়ী আগামী ২৮ নভেম্বর (শুক্রবার) নির্বাচন। এ নির্বাচনে ৫টি পদের বিপরীতে মোট ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন। ব্যাবসায়ী কমিটির এই ভোট যুদ্ধে জয়লাভের আশায় তাঁরা শীতকে উপেক্ষা করে দিনরাত ভোট ও দোয়া-আশীর্বাদ কামনা করছেন। ভোটারদের তথ্যমতে, ১৭ বছর পরের এ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
আগামী ২৮ নভেম্বরের ভোটযুদ্ধে যারা অংশ গ্রহণ করছেন তারা হলেন, সভাপতি পদে মোঃ শহর আলী গাজী, মোঃ শোয়েব হোসেন গাজী ও মোঃ মনিরুজ্জামান খান। সাধারন সম্পাদক পদে শেখ আসাদুজ্জামান ও জয়নুল পারভেজ সুমন। সাংগঠনিক পদে মোঃ রাসেল শেখ ও সাদ্দাম শেখ। দপ্তর সম্পাদক পদে সৈয়দ সিব্বির হাসান ও অনুপম সাহা। কোষাধ্যক্ষ পদে রাজু তালুকদার ও লিটন। এ নির্বাচনে মোট ৭০৮ জন ব্যবসায়ী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। এ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০০৮ সালে ডিসেম্বরে চিতলমারী বাজার ব্যবসায়ী ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। নির্বাচনে শেখ হাফিজুর রহমান সভাপতি পদে এবং মোঃ শহর আলী গাজী সাধারণ সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। কিছুদিন পর ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি শহীদুল ইসলাম লিটন মুন্সি আহবায়ক হন। তাঁর দীর্ঘদিনের ক্ষমতায়নের ফলে আর কোন নির্বাচন হয়নি। #