চিতলমারী প্রতিনিধি:: বাগেরহাটের চিতলমারীর বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল হাই শেখের বিরুদ্ধে মসজিদের ইমামকে জুতপেটা করতে চেয়ে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকাল ৫ টায় এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি চিতলমারী উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন। বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের দলুয়াগুনি বাজারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়। সভায় বক্তরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের দাবী জানিয়ে আরও কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারী দিয়েছেন।
সভায় বক্তরা বলেন, ‘বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের ঘোলা পশ্চিমপাড়া পুরাতন জামে মসজিদে মোঃ মাশরাফি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে ইমামতি করে আসছেন। গত ২৮ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১১ টার দিকে বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল হাই শেখ তাকে একজন অসুস্থ্য ব্যক্তির জন্য জুম্মা নামাজ বাদ দোয়া করতে বলেন। ইমাম মাশরাফি নামাজের পর তাকে বিষয়টি মনে করে দিতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই ইমামের মায়ের অসুস্থতার খবর আসে। খবর শুনে সে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। তারপরও সে যথা সময় ও নিয়মে ওই মসজিদের মুসল্লিদের জুম্মার নামাজ পড়ান। নামাজ শেষে মোনাজাতের সময় আব্দুল হাই শেখের কথা মনে না থাকায় ওই অসুস্থ ব্যক্তির নামে দোয়া করতে ভুলে যান। নেতার কথা মত ব্যক্তির নামে দোয়া না করায় মুসল্লিদের সামনে তিনি ইমামের উপর চড়াও হন এবং অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে ওই নেতা ইমামকে জুতাপেটা করে ইমামতি ছুটানোর হুমকি দিয়ে চরমভাবে লাঞ্ছিত করেন। আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুবিচার চাই। তা না হলে আগামীতে জাতীয় ইমাম সমিতির ব্যানারে সারাদেশে কঠোর আন্দোলন করা হবে।’
এ সময় পথ সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির চিতলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আজিজুল হক, বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আবু নাঈম, মুসল্লি ইদ্রিস শেখ ও মোঃ জাহিদ হোসেন প্রমূখ।
লাঞ্ছিত’র শিকার ইমাম মোঃ মাশরাফি বলেন, ‘ঘটনার পর বিএনপি নেতা আব্দুল হাই শেখের ভয়ে আমি ওই মসজিদের ইমামতি ছেড়ে দিয়েছি। বর্তমানে আমি বড়গুনি মাদ্রসায় লেখাপড়া করছি। যে কোন সময় আমার উপর হামলা হতে পারে।’
তবে বিএনপি নেতা আব্দুল হাই শেখ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। আমি ওই ইমামকে লঞ্ছিত করিনি।’
চিতলমারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি কেউ আমাকে অবগত করেনি। তারা লিখিতভাবে জানালে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।