নিজস্ব প্রতিনিধি:: আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও পাঁচ শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান মঙ্গলবার বিকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার। জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমানে নারীরা পুরুষের তুলনায় কোন ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। একসময় এমনটা ছিলো না। নারীরা ঘরের বাহিরে যেতে পারতো না তেমন একটা। সর্বদা তাদেরকে পুরুষের শাসন আর সংসারের কঠিন বেড়াজালের মধ্যে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখতে হতো। যার ফলে সেই সকল নারীদের জীবনের স্বপ্নগুলো আর বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পারতো না। সমাজের সেই অবস্থান থেকে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নিজের অদম্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে সংসারের সেই তথাকথিত গন্ডি অতিক্রম করে সফল হন। আজ সবার কাছে বেগম রোকেয়া একটি রোল মডেল তাদের অধিকার নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ব্যুরো প্রধান রাশেদুল ইসলাম, নারী নেত্রী এ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শিলু প্রমুখ। স্বাগত বক্তৃতা করেন মহিলা বিষয়ক দপ্তরের উপপরিচালক সুরাইয়া সিদ্দীকা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেলার পাঁচ শ্রেষ্ঠ অদম্য নারীকে সম্মাননা ক্রেস্ট এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।
খুলনা জেলার পাঁচ শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী হলেন-অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরীতে খুলনার খালিশপুরের তারানা তাবাচ্ছুম, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী কয়রার ডা. মোহসিনা রহমান, সফল জননী ক্যাটাগরীতে পাইকগাছার ফিরোজা খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা কয়রার মানসী মন্ডল এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় পাইকগাছা উপজেলার তেরেজা গোমেজ।