নিজস্ব প্রতিবেদক:: দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
প্রিয় নেতাকে রাজকীয় সংবর্ধনা দিতে রাজধানীজুড়ে এখন উৎসবের আমেজ। বিশেষ করে সংবর্ধনাস্থল খিলক্ষেত-বসুন্ধরার ৩০০ ফিট এলাকায় তৈরি করা হয়েছে বিশাল ও দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ। ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীদের ঢাকামুখী জনস্রোত শুরু হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান সরাসরি ৩০০ ফিটের সমাবেশস্থলে আসবেন। ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৬ ফুট প্রস্থের বিশাল এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। সংবর্ধনা শেষে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন এবং পরবর্তীতে গুলশানের বাসভবন ‘১৯৬ নম্বর’ বাড়িতে উঠবেন।
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসএসএফ, পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি বিএনপির নিজস্ব নিরাপত্তা টিম সিএসএফ কাজ করছে। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত পুরো পথ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। তাকে বহন করার জন্য বিদেশ থেকে আনা হয়েছে বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন একটি বুলেটপ্রুফ জিপ।
এছাড়া পুরো যাত্রাপথ সাধারণ মানুষের দেখার জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে প্রজেক্টরের মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নেতাকর্মীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পঞ্চগড়, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন রুট থেকে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বগুড়া থেকে অন্তত ৫০০ বাস এবং দেশের প্রতিটি জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। রাজধানীর প্রধান সড়ক ও অলিগলি এখন ‘লিডার আসছে’ সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার পর তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আইনি জটিলতায় তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেননি। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অবশেষে তাঁর এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘটছে।