নিজস্ব প্রতিবেদক:: রাষ্ট্রীয় পূর্ণ মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর জিয়া উদ্যানে স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়।
বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান (গার্ড অব অনার) প্রদান করে। দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় এক শোকাতুর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর আগে বেলা ৩টা ৩ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন এলাকায় মরহুমার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক জানাজায় ইমামতি করেন।
মাত্র দুই মিনিটের এই সংক্ষিপ্ত জানাজায় অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ। এ সময় তিন বাহিনীর প্রধানসহ সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার প্রথম সারিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিদেশ থেকেও উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল সকালেই ঢাকা পৌঁছে জানাজায় শরিক হন। এ ছাড়াও জানাজায় বিশ্বের ৩২টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও বিদেশি প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা ও দাফন প্রক্রিয়ার সময় পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজা ও জিয়া উদ্যান এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।