অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি:: পাষন্ড স্বামী কর্তৃক যৌতুকের দাবিতে মারপিট, শারীরিক নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করছে না। ১৫দিন পেরিয়ে গেলেও আসামি রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এ নিয়ে মামলার বাদি রয়েছে নিরাপত্তাহীনতায়।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, বিগত ১০ বছর পূর্বে ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামের অজিত দাসের মেয়ে শম্পা দাসের তালা উপজেলার গোনালী গ্রামের শিবুপদ দাসের ছেলে পবিত্র দাসের সনাতন ধর্মীয় মতে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় হতদরিদ্র পিতা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে নগদ অর্থ, আসবাবপত্র সহ প্রায় লক্ষাধিক টাকা যৌতুক দেয়। তাদের সংসারে তুলি দাস (৮) ও রুমি দাস নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এরপর ভাটা শ্রমিক স্বামী পবিত্র দাস তার দিনমজুর শ্বশুরের কাছ থেকে আবারও ৫০ হাজার টাকা যৌতুক আনার জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকে। এ স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। তারই জের ধরে গত ২২ এপ্রিল ‘২৪ স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা শম্পা কে যৌতুকের দাবিতে বেদম মারপিট ও শারীরিক নির্যাতন করে।ওই দিন সন্ধ্যায় স্বামীর দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় এবং অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার প্ররোচনায় ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় মৃত শম্পা দাসের বাবা অজিত দাস বাদি হয়ে পবিত্র দাসকে প্রধান করে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে তালা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। তদন্ত শেষে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মমিনুল ইসলাম গত ২৭ এপ্রিল ১১(গ) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩,প্যানাল কোড ও যৌতুকের দাবিতে মারপিট করা সহ আত্মহত্যার প্ররোচনার অপরাধ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করেন।
এদিকে মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলে বাদি জানান। তিনি আরও বলেন, আসামিরা আমাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ বুলবুল কবির বলেন,আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply