মনির হোসেন, মোংলা:: বর্তমান সরকারের সুদূর প্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলাকে রেল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করা হল। বন্দরটির সাথে রেল যোগাযোগের মধ্যদিয়ে দক্ষিণের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখতে পারবে মোংলা বন্দর।
১ জুন শনিবার সকাল ১০টায় ৬০০ যাত্রী নিয়ে মোংলা প্লাটফর্মে এসে পৌঁছায় মোংলা এক্সপ্রেস নামে একটি কমিউটার। এর আগে এই ট্রেনটি বেনাপোল থেকে সকাল ১০টায় ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে বেনাপোল থেকে নাভারণ, ঝিকরগাছা, যশোর জংশন, রূপদিয়া, সিঙ্গিয়া, চেঙ্গুটিয়া, নওয়াপাড়া, বেজেরডাঙ্গা, ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, কাটাখালি, চুলকাটি বাজার, ভাগা ও দিগরাজ স্টেশনে যাত্রাবিরতির পর দুপুর ২টায় মোংলায় আসে। এরপর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে এই ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসময় মোংলায় আসা নতুন ট্রেনটিকে স্বাগত জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্নাসহ রেল কর্তৃপক্ষের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
রেলপথ চালু হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণসহ দক্ষিনাঞ্চলের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে জানিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠার ৭৩ বছর পর দেশের রেল নেটওয়ার্কে মোংলা বন্দর যুক্ত হয়েছে। এতে করে খুলনা-মোংলা রেল পথ ঘিরে অর্থনীতিতে নতুন সম্ভবনার দুয়ার খুলবে। ঢাকার সাথে সহজ হবে মোংলা বন্দরের সাথে যোগাযোগ। একই সাথে এই বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা স্বল্প সময়ে কম খরচে পণ্য ডেলিভারি নিতে পারবেন। এছাড়া বহুল কাঙ্খিত এই রেলপথ চালু হওয়ায় মোংলা বন্দরের সাথে ভারত, ভূটান ও নেপালের ব্যবসা বানিজ্য প্রসারিত হবে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে বেনাপোল ও মোংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহারে বেশ আগ্রহ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। এ দুই পথে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল, সড়ক ও নৌপথে পথে রয়েছে যাত্রী ও বাণিজ্যসেবা। এছাড়া দর্শনীয় স্থান ঘুরতে ও বিভিন্ন কারণে অনেকে বেনাপোল-মোংলা রুট ব্যবহার করে থাকে। এ রুটে যাত্রী সেবা বাড়াতে ব্যবসায়ী ও পাসপোর্টধারীদের দাবির মুখে রেল কর্তৃপক্ষ বেনাপোল-খুলনা-মোংলা রুটে চালু করেছে যাত্রীসেবা।
Leave a Reply