অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া (খুলনা )প্রতিনিধি :: খুলনার ডুমুরিয়ায় হাত পা বাঁধা অবস্থায় এক ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার দক্ষিণ গোবিন্দকাটি গ্রামের একটি বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ জানিয়েছে। দুই হাত ও দুই পা একসাথে বেঁধে কোমরের বেল্ট গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দক্ষিণ গোবিন্দকাটি গ্রামের আইয়ুব আলী গাজীর সুপারী বাগানে একটি ছোট গাছের সাথে বেঁধে রেখে গেছে হত্যাকারীরা। নিহত ব্যক্তির নাম মইদুল ইসলাম (৩৯)। পেশায় একজন ভ্যানচালক। তিনি উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের ওমর আলী শেখের ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, মইদুল বুধবার বিকেলে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। তবে মাগরিবের নামাজের পর চুকনগর বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে আঠারোমাইলের দিকে যেতে দেখেছে অনেকে। রাত ৮টার দিকে মইদুলের নাম্বারে তার স্ত্রী কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর গভীর রাত অবধি তার বাবা, ভাই সহ অনেকেই তাকে কল দেয়। কিন্তু ফোন বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ওই বাগানে তার লাশ দেখে থানা পুলিশকে জানায় এলাকাবাসী।
হত্যাকারীরা কি কারণে তাকে হত্যা করেছে তার সঠিক কোন তথ্য এখনও জানা যায়নি, তবে পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা মইদুলের ব্যাটারী চালিত ভ্যানটি ছিনতাই করার জন্য এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তার মা, বাবা ও ভাই বোনের আহাজারিতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। এসময় সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। নিহতের ভাই মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, ৬ ভাই বোনের মধ্যে মইদুল সবার বড়। সে দীর্ঘদিন ভারতে ছিল ২ বছর আগে বাড়ি এসেছে। বছর খানেক আগে জীবিকার তাগিদে ভ্যান চালানোকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। এলাকায় সবার সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল। তার কোন শত্রু ছিল বলে আমাদের জানা নেই।
লাশের সংবাদ পেয়ে খুলনা জেলার পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-বি) মোঃ খায়রুল আনাম, জেলা ডিবি ও ডুমুরিয়া থানা পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ভ্যান ছিনতাইয়ের জন্য এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। তবে এর পিছনে অন্য কোন রহস্য আছে কিনা সেটা তদন্তের পর বলা যাবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা যায়, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply