মনির হোসেন:: মায়ানমার জলসীমায় ঝুঁকি এড়াতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে কোস্টগার্ড।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দেশের সুবিশাল সমুদ্র, উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নানাবিধ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১১ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন টেকনাফ কর্তৃক টেকনাফের সকল বোট মালিক সমিতির প্রতিনিধি ও স্থানীয় জেলেদের সাথে জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় বারংবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি মায়ানমার জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ আহরণে যাওয়া বাংলাদেশী জেলেদের আরাকান আর্মি কর্তৃক আটক, নির্যাতন ও মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার উপর আলোকপাত করা হয়।
সভায় মাছ ধরার ট্রলার/বোট মালিকগণকে মায়ানমার জলসীমা পরিহার করে বাংলাদেশ জলসীমা দিয়ে সমুদ্রে গমনাগমন করা, অধিক মাছ ধরার লোভে ইচ্ছাকৃতভাবে মায়ানমার জলসীমা অতিক্রম না করা, চোরাচালানের উদ্দেশ্যে সীমান্ত অতিক্রম না করা এবং মৎস্য আহরণ এর বরাদ্দকৃত সময়ের বাহিরে নাফ নদীতে মাছ না ধরাসহ বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এসময় টেকনাফ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট প্রতিনিধি, সহকারী কমিশনার ভূমি, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিজিবি প্রতিনিধি, মৎস্য ও জেলে সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি, বিভিন্ন ঘাটের ইজারাদার এবং স্থানীয় জেলেগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলমান পরিস্থিতিতে কোস্ট গার্ড নিয়মিত বিশেষ টহল এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করেছে। পাশাপাশি অত্যাধুনিক নেভিগেশন রাডারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি, মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এবং আইন-শৃঙ্খলার উন্নতির লক্ষ্যে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
Leave a Reply