রংপুর::জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ নির্বাচন নিয়ে এখনো আশঙ্কায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগ যেভাবে শুরু করেছে তাতে করে মনে হচ্ছে সব দখল হয়ে যেতে পারে। এ নিয়ে ভোটাররা এখনো আতংকে আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে চলমান সংকট আরো ঘনীভূত হবে। দেশে বড় ধরনের সঙ্কট তৈরী হতে পারে।

নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত যা আছে তা খুব ভালো না হলেও খারাপ নয় বলেও জানান তিনি। তবে ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন কি না বা ভোট দিতে পারবেন কি না আর ভোট দিলেও সঠিকভাবে গণনা করে ফলাফল সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে বলে শংকা প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের এই প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর গরীর সেনপাড়ার স্কাই ভিউ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি শংকা প্রকাশের এসব কথা বলেন।

রংপুরে ভোটের পরিবেশ সম্পর্কে জিএম কাদের বলেন, এখানে এখনো ভোটের পরিবেশ ভালো আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটা দেখার পালা। সব উপেক্ষা করে জাপার প্রার্থীরা মাঠে সরব আছে এবং থাকবে। এ ছাড়া সব জায়গায় ফ্ল্যাগ তুলে রাখতে এবার অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। ৯০ পরবর্তী ৩০০ আসনে ফাইট করার যোগ্যতা পার্টির ছিল না এখনো নেই।

এবাবের নির্বাচনে ৪০/৫০ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় বড় ফ্যাক্টর হবে না বলে দাবি করেন জাপা চেয়ারম্যান। নিজ দলের যারা নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন ভোটের পরে ভ্যারিফাই করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের জাপার প্রার্থী মোস্তফা সেলিমসহ দলের নেতা কর্র্মীরা।

দ্বাদশ সাসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনের ৯ থেকে ৩৩নং ওয়ার্ড) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দলীয় প্রতীক ‘লাঙ্গল’, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু ‘একতারা’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক ‘ডাব’, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহিদুল ইসলাম ‘মশাল’, ন্যাশনাল পিপলস পাটির শফিউল আলম ‘আম’ এবং তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী ‘ঈগল’ প্রতীকে লড়ছেন।