1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বেনাপোলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানালো অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিক জাকিরের স্মরনে শোকসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত বিএনপির অপেক্ষায় ঐক্যবদ্ধ শাহবাগ-সারজিস আলম জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন প্রধান উপদেষ্টা নির্বিঘ্নে ধর্ম পালনে বড় ভূমিকা রাখবে ‘লাব্বাইক’ অ্যাপ পাইকগাছায় সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার- ১ নারায়ণগঞ্জে কোস্টগার্ডের অভিযানে অবৈধ চিংড়ি রেণু জব্দ শার্শায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের আয়োজনে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ

দ্য কনভার্সসেশনের বিশ্লেষণ,শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে পারবে ভারত?

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: গণবিপ্লবের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে পালানোর আগে ছাত্র ও জনতার বিপ্লবকে ঠেকাতে হাসিনা সর্বশক্তি প্রয়োগ করেন। এতে করে নিহত হন শত শত মানুষ।

সাধারণ মানুষকে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত শতাধিক মামলা হয়েছে। যারমধ্যে রয়েছে হত্যা, নির্যাতন, গুম, অপহরণ, মানবতা বিরোধী এবং গণহত্যার মতো গুরুতর অপরাধ।

এসব অপরাধের বিচার করতে এখন শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার দাবি উঠেছে। হাসিনাকে ফেরত আনা যাবে? ভারত কী তাকে ফেরত দেবে?

এ বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছে বিশ্লেষণী সংবাদমাধ্যম ‘দ্য কনভারসেশন’। তারা বলেছে, ভারত শেখ মুজিবুর রহমানের দুই খুনিকে ফেরত দিয়েছে। চাইলে শেখ হাসিনাকেও ফেরত দিতে পারবে।

বিশ্লেষণে ‘দ্য কনভারসেশন’ বলেছে, হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় এখন তার অনুপস্থিতিতেই আদালত বিচার করতে পারবে। কিন্তু এতে বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো বিচার শেষে আদালত যে রায় দিবে সেটি কার্যকর খুবই কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরপরই তাকে ভারত থেকে ফেরানোর দাবি ওঠে। তবে ভারত হাসিনাকে আদৌ ফেরত দেবে কি না সেটি একদমই নিশ্চিত নয়।

কিন্তু বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারবে। কারণ ২০১৩ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি হয়। ২০১৬ সালে চুক্তিটি সংশোধন করা হয়। যেন অপরাধীদের সহজেই ফিরিয়ে আনা যায়। আর বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই এই প্রত্যর্পণ চুক্তি করতে মরিয়া ছিল।

সংবাদমাধ্যমটি আরও বলেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশ চুক্তিটি করতে চেয়েছিল। কারণ ১৯৭৫ সালে সেনা অভ্যুত্থানে নিহত শেখ মুজিবুর রহমানের দুই হত্যাকারী ওই সময় ভারতে অবস্থান করছিল। হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকার এ দুজনকে ফিরিয়ে ফাঁসিতে ঝোলাতে চেয়েছিল।

দণ্ড কার্যকরের ঝুঁকি থাকায় কানাডার মতো কিছু দেশ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফেরত দেয় না। কিন্তু ভারতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। ফলে বাংলাদেশে ফিরে শেখ মুজিবুরের হত্যাকারীদের ফাঁসিতে ঝোলানোর ঝুঁকি থাকলেও দুইজনকে ২০২০ সালে ফেরত দিয়েছিল ভারত।

তারা হলেন সেনাবাহিনীর রিসালদার মোসলেউদ্দিন এবং ক্যাপ্টেন আব্দুল মজিদ। এরমধ্যে ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল ক্যাপ্টেন আব্দুল মজিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

অপরদিকে এই চুক্তি অনুযায়ী ২০১৫ সালে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফার জেনারেল সেক্রেটারি অনুপ চেটিয়াকে ফেরত দিয়েছিল বাংলাদেশ।

দ্য কনভারসেশন আরও জানিয়েছে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী কোনো অপরাধে এক বছরের বেশি সময়ের কারাদণ্ড হলে অপরাধীকে ফেরত দেওয়া যাবে। এবং অপরাধটি অবশ্যই দুই দেশেই দণ্ডনীয় হতে হবে। হাসিনার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে এসব অভিযোগের বিচার ভারতে করা যায়। হাসিনার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলোর শাস্তিও যথেষ্ট হবে। যার অর্থ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া যাবে।

সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, চুক্তিতে থাকা ১০ নম্বর শর্তটি বিষয়টি আরও সহজ করে দিয়েছে। এই শর্তে বলা আছে, কারও বিরুদ্ধে শুধুমাত্র গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেই তাকে প্রত্যর্পণ করা যাবে। এজন্য অপরাধীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী কোনো প্রমাণ দেখাতে হবে না। তবে হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হলেও এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট