1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ওসমান হাদির মৃত্যুতে বিএনপির গভীর শোক বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক, ১৯৭১ পরবর্তী কঠিনতম পরীক্ষার মুখে নয়াদিল্লি বেনাপোল দিয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে দেশে ফিরল ২৪ জন নারী পুরুষ ও শিশু গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন করল উপদেষ্টা পরিষদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি: ‘যমুনা ঘেরাও’য়ের আল্টিমেটাম অবশেষে ২৭তম বিসিএস থেকে ৬৭৩ জনকে নিয়োগ দিল সরকার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদি মারা গেছেন টেকনাফে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৮ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ চিতলমারীতে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ চিতলমারীতে ডেভিল হান্ট ফেজ-২ অভিযানে আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার

সত্যিই কী যুক্তরাজ্যে ৩৬০টি বাড়ির মালিক সাবেক ভূমিমন্ত্রী?

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক:: সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকশ বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। এগুলোর কোনোটাই তিনি বাংলাদেশের কর কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা করেননি।

বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী ইউনিটের তৈরি ‘দ্য মিনিস্টার’স মিলিয়নস’ নামে একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর লন্ডন, দুবাই ও নিউ ইয়র্কে কয়েকশ’ বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন। শুধু যুক্তরাজ্যেই তার রয়েছে ৩৬০ বেশি বিলাশবহুল বাড়ি।

আল জাজিরার ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিটের এই গোপন অনুসন্ধানে প্রকাশ হয়েছে, কীভাবে বাংলাদেশের সাবেক এই মন্ত্রী সরকারিভাবে সীমিত বেতন থেকে ৫০ কোটি ডলারের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।

বাংলাদেশে কঠোর মুদ্রা আইন অনুযায়ী, বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি বিদেশে স্থানান্তর করা নিষিদ্ধ। সেই সঙ্গে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী মন্ত্রীরা সরাসরি ব্যবসায়িক স্বার্থে লাভবান হতে পারেন না বা পরিচালকের পদে থাকতে পারেন না।

আল জাজিরা জানায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ব্রিটেনে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ৩৬০টিরও বেশি বিলাসবহুল সম্পত্তি কিনেছেন। তার এই সম্পত্তি ব্রিটেনেই সীমাবদ্ধ থাকেনি-দুবাই, নিউ ইয়র্ক, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াতেও ছড়িয়ে আছে।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী তার শক্তিশালী রাজনৈতিক সংযোগ নিয়ে গর্ব করে আল জাজিরাকে বলেছেন, আমার বাবা শেখ হাসিনার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং আমিও। তিনি আমার বস… তিনি জানেন যে আমি ব্রিটেনে ব্যবসা করছি।

২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে কোম্পানি গড়ে তোলার পর দেশটিতে তার সম্পত্তি কেনার গতি বৃদ্ধি পায়। ২০১৯ সালে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর এই গতি আরও বেড়ে যায়।

জুলাই মাসে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের ওপর কঠোর দমন-পীড়ন চালানোর পর শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয় এবং বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ আগের সরকারের মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য দেশ ছেড়েছেন।

সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্ত করছে বাংলাদেশ সরকার। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করা হয়েছে এবং আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষিত রাখতে তার পরিবার-পরিচালিত ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল)-এর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে।

আল জাজিরার সাংবাদিকরা ছদ্মবেশে বিনিয়োগকারী সেজে গত বছর সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। তারা তার ১৪ মিলিয়ন ডলারের লন্ডনের বাড়িতে যান। তাদের সঙ্গে তিনি হাতে-তৈরি কুমিরের চামড়ার জুতা এবং লন্ডনের শীর্ষ দোকানগুলো থেকে ইতালীয় স্যুট কেনার গল্প করেছেন।

লন্ডনের বাড়িটির ঘুরে দেখানোর সময় সাবেক মন্ত্রী সাংবাদিকদের একটি সিনেমা হল, জিম, ব্যক্তিগত লিফট ও রোলস-রয়েস গাড়ির জন্য বিশেষ সুরক্ষিত ভূগর্ভস্থ পার্কিং দেখিয়েছেন।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী আল জাজিরাকে বলেছেন, তার সম্পত্তিগুলো যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ ব্যবসা থেকে অর্জিত আয়ের মাধ্যমে কেনা হয়েছে। সাইফুজ্জামান দাবি করেছেন, তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট