1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
সার্কের বিকল্প জোট গঠনে চীন-পাকিস্তানের উদ্যোগে যুক্ত বাংলাদেশ আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যুতে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বেনাপোল সীমান্তে ২৯ লাখ টাকার ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের পন্য জব্দ দিঘলিয়ায় সেনহাটি ইউনিয়ন মহিলা দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত বেনাপোলে ১২দিন নিখোঁজ মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রের সন্ধান মেলেনি শার্শার লক্ষনপুর ইউনিয়নে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত টেকনাফে কোস্টগার্ডের আয়োজনে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ বটিয়াঘাটায় হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার পাইকগাছায় উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে এলসিএস কর্মী নিয়োগ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি রফতানি সহ সকল কার্যক্রম শুরু

আমদানি স্বাভাবিক, তার পরও কমছেনা কাচাঁ মরিচের দাম

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

বেনাপোল প্রতিনিধি:: আমদানি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল সহ স্থানীয় সব খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দামবৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ১৫০-২০০ টাকা। কারণ হিসেবে দুর্গাপূঁজার জন্য টানা ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন,আমদানি বাড়লেও আড়তে তেমন কমেনি কাঁচা মরিচের দাম। টানা ৫ দিন বন্দর বন্ধ থাকবে জেনে কাঁচামাল গুদামজাত করে দামবৃদ্ধি করেছেন আড়তদাররা।

আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বেনাপোল ও শার্শার একাধিক বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,এক সপ্তাহ আগেও এই সব বাজারে ভারত থেকে আমদানিকৃত কাচাঁ মরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি। আজ তা বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৪০০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে, আজ দুইদিনে এ বন্দরে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচামরিচের আমদানি। গত সোমবার একদিনে ৫০ ট্রাকে ৫৮১ টন ৯৭০ কেজি কাচাঁ মরিচ আমদানি হয়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২ ট্রাকে ১৪৪ টন কাচাঁ মরিচ আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এই মরিচের ক্রয় থেকে শুরু করে শুল্ক করাদি সব মিলিয়ে খরচ পড়েছে ৯৬-১০০ টাকা। অথচ যশোরের শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকা কেজি। তবে বন্দর বন্ধ হওয়ায় মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ বিক্রেতারা।

বেনাপোল চেকপোস্ট বাজারে কাচাঁ মরিচ কিনতে আসা ফজলুর রহমান বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেও মরিচ কিনেছিলাম ৯০ টাকা কেজি। আজ দেখছি ৩৫০ টাকা কেজি।এভাবে চললে আমরা চলব কি করে?’

কাঁচামরিচ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকার বাসিন্দা। শুনছি এবং দেখছি, এই বন্দরে প্রচুর কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে। সেই হিসেবে তো ১০০ টাকার নিচে দাম হওয়া দরকার। অথচ এখনো আমাদের ৩৫০-৪০০ টাকা কেজির ওপরে কাঁচামরিচ কিনে খেতে হচ্ছে।’

বেনাপোল বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী রাশেদ আলী বলেন, বেশি দামে মরিচ কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। সব সবজি এবং পেঁয়াজের দাম ও আকাশ ছোঁয়া। তবে পুজার কারনে পোর্ট বন্ধ থাকায় বাজারে বড় বড় ব্যবসায়ীরা বস্তা বস্তা কাঁচামরিচ আর পেঁয়াজ মজুত করেছিল,দাম বেশি পাবার আশায়।’আমদানি স্বাভাবিক হলে আবার দাম কমে যাবে।

বেনাপোল বন্দরের পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, ‘পেঁয়াজে তেমন পড়তা না থাকায় এখন কাঁচামরিচ আমদানি করছি। বর্তমান কাঁচামরিচ আমদানি অনেক বেশি হচ্ছে। বাজারে মূল্যবৃদ্ধির ভাবটা অচিরেই কেটে যাবে। গত দুইদিনে ৬২ গাড়ি কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে এই বন্দরে দিয়ে।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ইয়াসিন জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করছেন। ক্রয়-বিক্রয় রশিদ, মূল্য তালিকা, বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মরিচের দামে কোনো কারসাজি হচ্ছে কিনা তাও যাচাই করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট