1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
সার্কের বিকল্প জোট গঠনে চীন-পাকিস্তানের উদ্যোগে যুক্ত বাংলাদেশ আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যুতে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বেনাপোল সীমান্তে ২৯ লাখ টাকার ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের পন্য জব্দ দিঘলিয়ায় সেনহাটি ইউনিয়ন মহিলা দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত বেনাপোলে ১২দিন নিখোঁজ মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রের সন্ধান মেলেনি শার্শার লক্ষনপুর ইউনিয়নে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত টেকনাফে কোস্টগার্ডের আয়োজনে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ বটিয়াঘাটায় হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার পাইকগাছায় উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে এলসিএস কর্মী নিয়োগ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি রফতানি সহ সকল কার্যক্রম শুরু

পাইকগাছায় কালের আবর্তনে বিলীনের পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

পাইকগাছা (খুলনা ):: খুলনার পাইকগাছায় মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। মৃৎশিল্প এমন একটি মাধ্যম যা মাটিকে নিয়ে আসে মানুষের কাছাকাছি। মৃৎশিল্প বলতে মাটি দিয়ে তৈরী যাবতীয় ব্যবহার্য এবং সৌখিন শিল্প সামগ্রীকেই বোঝায়। শিল্প ও সংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যমের মধ্যে মৃৎশিল্প অতি প্রাচীন। মাটির সাথে মানুষের জীবন ঘনিষ্ঠভাবে ভাবে জড়িয়ে আছে। মাটি যখন শিল্পের ছোঁয়া পায় তখন উঠে আসে ঘরে, সাজিয়ে তোলে আমাদের অন্দরমহল। সেই মাটির তৈরী সামগ্রী যখন ব্যাপক প্রসার লাভ করে তখন তার নাম হয় মৃৎশিল্প। কিন্তু কালের আবর্তনে বিলীনের পথে ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্প। তবে পূর্বপুরুষের এই পেশা এখনও ধরে রেখেছেন কেউ কেউ।

খুলনার পাইকগাছায় মাটির তৈরী হাড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, ফুলের টব, মাটির ব্যাংক, আগরদানি, মোমদানি, প্রদীপ দানি, বাচ্চাদের খেলনা সহ আরও অনেক ধরনের তৈজসপত্র দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে মাটির তৈরী এসব ব্যবহার্য সামগ্রীর চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে,সে কারণে বংশানুক্রমে পাওয়া এ পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের অসঙ্গতি আর জীবন-মান উন্নয়নের জন্য ক্রমশ অন্য পেশার দিকে ঝুঁকে পরছেন তারা। এমনকি মাটির তৈরী তৈজসপত্রের পর্যাপ্ত চাহিদা না থাকায় নতুন করে এ পেশায় কেউ প্রবেশ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, এ পেশার সঙ্গে জড়িতদের অধিকাংশই হিন্দু সম্প্রদায়ের। আবার কেউ কেউ জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছেন।

উপজেলার বোয়ালিয়া পাল পাড়ার পাল বলেন, আমার বাপ-দাদার জাত ব্যবসা ধরে রাখার জন্য আমি ৩০ যাবৎ বছর এ পেশায় কাজ করছি। আমার পরিবারের আর কেউ এই পেশায় আসতে চাচ্ছে না। দিনে দিনে মাটির তৈরী জিনিসপত্রের চাহিদাও কমছে, বর্তমানে স্যানিটারি ল্যাট্রিনের চাক বা রিং বা কুয়ার রিং তৈরী করছি। মৃৎশিল্পী পাল বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ পেশার শিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখতে এখনই সরকারি পৃষ্টপোষকতা প্রয়োজন। দেশের বিভিন্ন স্থানে মেলার ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে মাটির জিনিসপত্রের প্রয়োজনীয়তা জনসাধারণের কাছে তুলে ধরা দরকার। তা না হলে মৃৎশিল্পীদের স্থান হবে শুধুই ইতিহাসের পাতায়।

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, মৃৎশিল্পীদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া ও ঋনদান কর্মসূচী সহ নানা পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এই কর্মসূচী আরও বেগবান করার চেষ্টা করবে উপজেলা প্রশাসন। তাতে মৃতশিল্পে অনেকের আগ্রহ বাড়বে বলে আমি আশা করি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট