1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১২:০২ অপরাহ্ন

পাইকগাছার রাড়ুলীর ভাঙ্গন ও জলাবদ্ধতা এলাকা পরিদর্শন

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

পাইকগাছা (খুলনা):: খুলনার পাইকগাছার রাড়ুলী ইউনিয়নের জেলে পল্লীর ভাঙ্গন ও বাঁকা চরের জলাবদ্ধতা এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরামের নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ সোমবার সকালে প্রথমে রাড়ুলী জেলে পল্লীর কপোতাক্ষের ভাঙ্গনকবলিত এলাকা এবং পরে বাঁকা চরের জলাবদ্ধতা এলাকা পরিদর্শন এবং এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরামের সভাপতি প্রাক্তন অধ্যক্ষ রমেন্দ্র নাথ সরকার, রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, শেখ সাদেকুজ্জামান, প্রভাষক আব্দুল মোমিন, ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ, বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য, অখিল কুমার মন্ডল, লিয়াকত আলী, বকুল বিশ্বাস, বজলুর রহমান মোড়ল, বাবু সামাদ মোড়ল, মানিক বিশ্বাস, নুর ইসলাম, মনোরঞ্জন বিশ্বাস, সন্ধ্যা বিশ্বাস, কাকলি বিশ্বাস, অন্তরা বিশ্বাস, জয়ন্ত দাশ, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মানিক লাল বসু, ফিল্ড অফিসার তুষার কান্তি বাইন, ফিল্ড অর্গানাইজার চিত্ত রঞ্জন মন্ডল, নাসরীন আরা, সুপ্রিয়া মন্ডল ও শুভঙ্কর বিশ্বাস।

উল্লেখ্য রাড়ুলী জেলে পল্লীর প্রভাষক মোমিন সানার বাড়ির পূর্ব পাড়া হতে পশ্চিম পাড়ার খেয়াঘাট পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদের ভয়াবহ ভাঙ্গনে অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে ৮০০ মিটার এলাকা জুড়ে কোন বাঁধ নাই। এছাড়া নদের অব্যাহত ভাঙ্গনে অসংখ্য ঘরবাড়ি নদের ভিতরে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এর ফলে গৃহহীন হয়েছে জেলে পল্লীর অসংখ্য পরিবার। বাঁধ না থাকায় প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বর্ষা মৌসুমে এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এলাকাবাসীর দাবি আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই ৮০০ মিটার এলাকার বাঁধ নির্মাণ এবং জিও ব্যাগ স্থাপন অথবা ব্লক দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করতে হবে। যদিও ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সাড়ে ৩ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

অপরদিকে কপোতাক্ষ নদ খনন করার পর থেকে বাঁকা চর এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এর ফলে প্রতিবছর ৭০০ বিঘা জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী ওই এলাকার পানি সরবরাহের জন্য গোড়ার খাল নামের একটি সরকারি খাল রয়েছে। যা পলী জমে ভরাট হয়ে গেছে। দেড় হাজার মিটার দৈর্ঘ্যের খালটি খনন করতে হবে। সম্পূর্ণ খাল খনন করা সম্ভব না হলে নুন্যতম ৬০০ মিটার খাল খনন এবং বাঁধের উপর খালের সংযোগ স্থলে একটি মিনি স্লুইচ গেট নির্মাণ করতে হবে। এব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপজেলা ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট