নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খুলনায় আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৫’ উদ্যাপিত হয়। দিবসটি সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে বিশেষ র্যালি ও বানৌজা তিতুমীরস্থ ফেয়ারওয়ে মাল্টিপারপাস হলে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সকল দেশের শান্তিরক্ষীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও অসামান্য অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০০২ সাল হতে প্রতিবছর ২৯ মে দিবসটি পালন করা হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের স্থানীয় প্রতিনিধি, খুলনা ও যশোর অঞ্চলের বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বিএনসিসি ও নৌ স্কাউটের সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
দিবসটি পালনের লক্ষ্যে সকাল ০৭৩৫ ঘটিকায় শিববাড়ি মোড় হতে বিশেষ র্যালি শুরু হয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ঘাঁটি বানৌজা তিতুমীরে এসে সমাপ্ত হয়। পরবর্তীতে বানৌজা তিতুমীরস্থ ফেয়ারওয়ে মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন অবমুক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এবং শান্তিরক্ষায় জীবন উৎসর্গকারী সদস্যদের স¥রণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উলেখ্য যে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশের সর্বমোট ২,০০,৫৫৮ জন শান্তিরক্ষী সদস্য বিশ্বের ৪৩ টি দেশে এ পর্যন্ত ৬৩ টি মিশন সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার এই মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের ১৬৮ জন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছে এবং জাতিসংঘের ভাবমূর্তি সমুন্নত রেখেছে। পাশাপাশি জাতিসংঘের ভাবমূর্তি বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতিসংঘের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। পরিবর্তিত বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীগণ ভবিষ্যতেও বিচক্ষণতা, পেশাদারিত্ব এবং সাহসিকতার মাধ্যমে দেশের সুনাম সমুন্নত রাখতে সর্বদা কাজ করে যাবে।
Leave a Reply