নিজস্ব প্রতিবেদক:: চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমিরাতের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, এই সফরে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।
সফরসঙ্গী হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।
গুরুত্ব পাবে রাজনৈতিক সমর্থন আদায়
ধারণা করা হচ্ছে, বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে অবস্থানের প্রেক্ষাপটে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার প্রসঙ্গ আলোচনায় তুলবে ঢাকা। অন্যদিকে, বিগত সরকারের সময়ে বাংলাদেশকে চারটি উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল ব্রিটেন, সেটি ঢাকাকে মনে করিয়ে দিতে পারে দেশটি।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লন্ডন সফরকালে ড. ইউনূস যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ১২ জুন বাকিংহাম প্রাসাদে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন ড. ইউনূস। ওইদিন বিকেলে সেন্ট জেমস প্রাসাদে রাজা তৃতীয় চার্লসের হাত থেকে কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করার কথা সরকারপ্রধানের। আগামী ১১ জুন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা। এছাড়া, তিনি যুক্তরাজ্যের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউজ আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা-লন্ডনের কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ইউনূস-স্টারমারের বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা, বিনিয়োগ ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানো, রোহিঙ্গা সংকটের মতো বিষয়গুলো আলোচনায় আসতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক সমর্থনের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার, নির্বাচন, জুলাই-আগস্টের নৃশংসতার বিচারসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে যুক্তরাজ্য সরকারকে পাশে চাইবে ঢাকা।
Leave a Reply