1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বরগুনায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে নৌবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান খালিশপুরে রেবেকার হাত থেকে বাঁচতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে আকস্মিক হামলা দেশব্যাপী স্কাউটস কাব কার্নিভালের উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার টেকনাফে কোস্টগার্ডের অভিযানে ১০ কেজি গাঁজা জব্দ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সাথে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সমন্বয় সভা কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্সের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ পাইকগাছায় আঁশফলের ফলন আশানুরুপ ; বাজারে চাহিদা অনেক সুন্দরবনে অস্ত্র গুলিসহ করিম শরীফ বাহিনীর সহযোগী আটক ইরানে হামলা করে অপরাধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, পরিণতি ভোগ করবে-ইরানের বিপ্লবী গার্ড

পাইকগাছায় আঁশফলের ফলন আশানুরুপ ; বাজারে চাহিদা অনেক

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি:: লিচুর মৌসুম চলে গেল। এখন লিচুর মতো স্বাদের গ্রাম বাংলায় আঁশফল নামে এক ধরনের ফল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আঁশফল এক প্রকার লিচু জাতীয় সু-স্বাদু ফল। অনেকের কাছে এটি কাঠলিচু বা লংগান নামে পরিচিতি। এই ফল থোকায় থোকায় লিচুর মতোই ঝুলে থাকে গাছে। এটি দেখতেও অনেকটা লিচুর মতো গোলাকার। তবে আকারে ছোট এবং এর রসাল অংশ খুবই কম।

পাইকগাছায় আঁশফলের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে চাহিদা ও ভালো মুল্য থাকায় বাগান মালিকরা লাভবান হচ্ছে। তবে বাদুরের উপদ্রব থেকে আঁশফল রক্ষা করতে ব্যবসায়ীরা হিমশিম খাচ্ছে। আঁশফল রক্ষার জন্য প্রায় প্রতিটি গাছ নেট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

আঁশফল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ফল। একে বলা হয় গরীবের লিচু। ফল গোল আকারের, শাঁস সাদা, খুব রসালো ও মিষ্টি। এক সময় দেশেএই আঁশফল খেয়ে আষাঢ় উদযাপন করেছে বাঙালি। আপেল, কমলা, আঙ্গুর, লিচুতে আশক্ত হয়ে এই ফলটির কদর হারিয়েছে। স্থানীয় জাতের এই ফলটির গুণগতমান তেমন একটা ভাল না হওয়ায় এর কদর কমলেও উন্নত জাতের আঁশফলের চাহিদা বেড়েছে।

আঁশফল লিচু পরিবারের একটি সদস্য। ফলের উপেরভাগ মিশ্রণ, ফলের রং বাদামি, আকার গোল। লিচুর চেয়ে অনেক ছোট হলেও ফলের শাঁস অবিকল লিচুর মত। ফল খেতে লিচুর মত বা লিচুর চেয়েও মিষ্টি। ফলের শাঁস সাদা চকচকে। আঁশফলের বিজ গোলাকার চকচকে কালো এবং শাঁস বীজকে আবৃত করে রাখে। যা সহজে আলাদা করা যায়।

বাংলাদেশে বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে এ গাছ দেখা যায়। এটি দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার উদ্ভিদ। যা ক্রান্তীয় অঞ্চলের বৃক্ষ। আঁশফল গাছ মধ্যমাকারের চিরসবুজ বৃক্ষ। যা ৬ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। বেলে মাটিতে এই গাছ জন্মে। সম্প্রতি বাংলাদেশ আঁশফল বেশ কিছু উন্নত মানের জাত প্রবর্তনের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করেছে। বারি আঁশফল-১ ও বারি আঁশফল-২ নামে উন্নত জাত বাংলাদেশে সর্বত্র মুক্তায়ন করা হয়েছে। আঁশফলে বিভিন্ন খনিজ উপাদান, শর্করা ও ভিটামিন সি এর প্রচুর উপাদান পাওয়া যায়। আঁশফলের শুকানো শাঁস থেকে ভেজস ঔষধ তৈরী করা যায়। অবসাদ দূর করতে এর দারুণ সুনাম রয়েছে। হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা ও সক্রিয় রাখতে আঁশফল উপকারি ভূমিকা পালন করে।

চলতি মৌসুমে উপজেলার গদাইপুর, রাড়ুলী, হরিঢালী ও কপিলমুনি ইউনিয়নে ছড়ানো ছিটানো আঁশফলের গাছ রয়েছে। আঁশফল বাজারে একশটি ফল ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এলাকার এক একটি আঁশফল গাছ পাইকারী ৮শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আঁশফল ব্যবসায়ী উপজেলার মঠবাটী গ্রামের আলাউদ্দীন জানান, আঁশফল পাঁকা শুরু হলে তাড়াতাড়ি না পাড়লে ঝরে পড়ে। তাছাড়া বাদুর একবার টের পেলে দল বেঁধে এক রাতেই সব ফল খেয়ে সাবাড় করে ফেলে। এ জন্য আঁশফল গাছে নেট দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে বাদুরের হাত থেকে রেহায় পেতে। আঁশফল প্রায় আগস্ট মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। বর্তমানে বাজারে এর কদর বাড়েছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, আঁশফল পুষ্টিকর ফল। এলাকায় আঁশফলের গুণগতমান খুব বেশি ভাল না হলেও হাইব্রিড জাতের আঁশ ফলের মান অনেকটা ভালো। ফল বেশ বড় ও চাহিদা রয়েছে প্রচুর। পরিত্যাক্ত জায়গায় আঁশফলের আবাদ করা যায় এবং কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। এ জন্য এলাকার কৃষকদেরকে আঁশফল গাছের চারা লাগাতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট