1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ফুল গিয়ারে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে-সিইসি গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি,জুলাইয়ের প্রথম পোস্টার প্রকাশ জুলাইকে সবার গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করুন-প্রধান উপদেষ্টা খুলনায় খাদ্য অধিদপ্তরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ওএমএস কার্যক্রম পরিচালিত পাইকগাছায় তীব্র বৃষ্টিতে বেড়েছে ছাতা কারিগরের কদর বাগেরহাটে যাত্রাপুর হাটের সরকারি জমিতে অবৈধ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন খুলনায় বৃক্ষমেলা উপলক্ষ্যে গঠিত প্রচার উপকমিটির সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় পলিমাটি অপসারণ কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করেন-বিভাগীয় কমিশনার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে জামাত ইসলামের উদ্যোগে গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় তীব্র বৃষ্টিতে বেড়েছে ছাতা কারিগরের কদর

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

পাইকগাছা  প্রতিনিধি :: বর্ষায় ছাতা কারিগরদের কদর বাড়ছে। ঋতুর এই দেশ বাংলাদেশ। বর্ষার দুই মাস হলো আষাঢ় আর শ্রাবণ মাস। এ বছর আষাঢ় মাস থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। একটানা বৃষ্টি মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। তাই বর্ষাকালে ছাতার ব্যবহার অন্য সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়ে যায় ছাতা কারিগরদের।

সারা বছর তেমন একটা কাজ থাকে না ছাতা কারিগরদের। তবে বর্ষা যেন তাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। কারণ, বর্ষা এলেই কদর বাড়ে তাদের। আর গেলো কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে পাইকগাছায় ছাতা কারিগররাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সারা বছর পাইকগাছা উপজেলার পৌরসভা বাজার, নতুন বাজার, আগড়ঘাটা, কপিলমুনি বাজারে ছাতা মেরামতের কাজ করে কারিগররা, তবে বর্ষাকালে উপজেলার পৌরবাজার, নতুন বাজার, গদাইপুর, চাঁদখালী,আগড়ঘাটা, কপিলমুনি,গড়ইখালী, বাকা বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে মৌসুমী কারিগররা ছাতা মেরামত করছে। এসব স্থানে নষ্ট ছাতা মেরামত কর লোকজনের ভিড় করছে। কারিগরদের ব্যস্ততা অনেক বেড়েছে। তারা নাওয়া-খাওয়া ভুলে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত একটানা কাজ করে যাচ্ছেন।

পাইকগাছা পৌরসভা বাজার পোস্ট অফিসের সামনে ফুটপাতে ছাতা মেরামতে ব্যস্ত ছিলেন কামাল শেখ। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি ছাতা মেরামতের কাজের সঙ্গে যুক্ত। কামাল শেখ বলেন, বৃস্টি হলে কাজও বেশী হয়। বৃষ্টির দিনে ছাতা মেরামতের কাজ একটু বেশি হয়। এসময় তিন থেকে পাচ শত টাকা রোজগার হয়। টানা বৃস্টির দিনগুলিতে ১৫ শত টাকা থেকে দুই হাজার টাকার কাজ করেছি। তবে অন্য সময় তেমন একটা কাজ থাকে না। ছাতা মেরামতের সামগ্রীর দাম বেড়েছে আর মুজুরিও বেশি টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ ছাতা মেরামত করতে আসা জনসাধারণের।

উপজেলার সরল গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, ছেলে-মেয়েরা বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। এখন বৃষ্টির সময়। বাতাসে ছাতার শিক ভেঙ্গে গেছে, তাই স্কুল ও প্রাইভেট পড়তে গেলে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। ছেলেমেয়েদের জন্য ছাতা দুইটা মেরামত করতে এসেছি।

নতুন বাজারের ছাতার কারিগর গনেশ দাশ বলেন, ছাতার কারিগরদের দুর্দিন চলছে। তাই অনেকেই এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশাই গেছে।আবার অনেকে পূর্বপুরুষের এ পেশা ছাড়তেও পারেনি। পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এ পেশায় কেউ আসতে চায় না। তাই দিন দিন এই পেশার কারিগররা হারিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট