বেনাপোল প্রতিনিধি:: শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করে তার পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
বৃহষ্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান ও যশোরের জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম রসূলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করেন ও তার পরিবারের লোকদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান ও জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম রসূলের সাথে এ সময় উপস্থিত ছিলেন
যশোরের জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলার সহকারী সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস,
বেলাল হোছাইন,রেজাউল করিম, ফারুক হাসান, শার্শা উপজেলার আমির রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী, বেনাপোল থানা সেক্রেটারি নূরুল হকসহ আরো অনেকে।
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন ‘শহীদেরা আমাদের প্রেরণার উৎস, তাদের আত্মত্যাগ এ জাতি কখনোই ভুলবে না। শহীদের রক্তের উপর দিয়েই এ দেশ নতুন করে আবার স্বাধীন হয়েছে।’তাদের এ অবদান আমাদের তথা বাঙ্গালী জাতির জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করতে হবে।
প্রসঙ্গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যখন দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে শহীদ আব্দুল্লাহ ৫ আগস্ট বেলা দুটোর সময় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের তাঁতি বাজার এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলন করছিল।আব্দুল্লাহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। আব্দুল্লাহ প্রতিদিনই সোহরাওয়ার্দী কলেজ এলাকায় ছাত্রদের সাথে রাজপথে আন্দোলনে নামতো।
০৫ আগস্ট’২৪ গণভবন অভিমুখে ছাত্র জনতার যাত্রা শুরু হলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এলাকায় ছাত্র-জনতার সাথে আব্দুল্লাহ যোগ দেয়। ছাত্র-জনতার উক্ত মিছিলে পুলিশ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। দুপুর দুইটার দিকে আব্দুল্লাহর মাথায় পুলিশের গুলী বৃদ্ধ হয়ে সে মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। ৩ মাস ১০ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ১৪ নভেম্বর সে শাহাদাত বরণ করে। পরবর্তীতে তার লাশ যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়।
Leave a Reply