অরুন দেবনাথ, ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি:: সবজি’র রাজধানী খ্যাত ডুমুরিয়া উপজেলায় এ বছরও অফ-সিজিনের ফুলকপি চাষ করে কৃষকরা লাখ লাখ টাকা লাভ করছেন। সংরক্ষনাগার স্থাপনের দাবি।
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ডুমুরিয়া উপজেলার বরাতিয়া গ্রামে ‘হলুদ-বেগুনি-সাদা’ ফুলকপি চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেওয়া কৃষক তাপস সরকার এ বছর অফ-সিজন বা অসময়ে অল্প জমিতে ফুল-কপি চাষ করে বড় লাভের মুখ দেখেছেন। মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে ৪’শ ফুলকপি চাষ করে মাত্র ৬০ দিনের মাথায় ক্ষেতে থাকতেই দেড় লাখ টাকা বিক্রি করে দিয়েছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সমগ্র ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে আগাম বা অফ-সিজন ফুলকপি চাষ হয়েছে। উপজেলার আটলিয়া ও খর্ণিয়া ইউনিয়নে সর্বাধিক সবজি চাষ হয়েছে। এছাড়াও শোভনা, সাহস, শরাফপুর ও ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ক্ষেত ও চিংড়ি ঘেরের আইলে ফুলকপি’র পাশাপাশি অফ-সিজনের সিম, তরমুজ বরবটি-সহ বিভিন্ন প্রকার সবজির চাষ হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য ভরা-মৌসুমে যে সবজির দাম থাকে, অফ-সিজনে তারই দাম কয়েকগুন বেশি হয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলার মধ্যে অন্যতম সফল চাষি তাপস সরকার বলেন, সিজনের থেকে অফ-সিজনে বেশি দাম পাওয়া যায় বলে এ বছর অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ফুলকপি চাষ করেছি। ২০ শতাংশ জমিতে গত শ্রাবন মাসে(আগষ্ট) ৪’শ চারা রোপন করেছিলাম। ৬০ দিনের মাথায়(অক্টোবর) এসে ক্ষেতে থাকতেই দেড় লাখ টাকা বিক্রি হয়ে গেছে। এই ৬০ দিনে চারা প্রতি এভারেজ ১০ টাকা খরচ হয়েছে। অর্থাৎ ১ লাখের ওপরে লাভ হয়েছে। এছাড়া ১৫ দিন আগে আরও একটি ক্ষেতের ৩ হাজার ৮’শ চারার ফুলকপির ক্ষেত থেকে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে ফুলকপি বিক্রি করে সেখানেও লক্ষাধিক টাকা লাভ রয়েছে। তবে আমাদের এলাকায় সবজির জন্য সংরক্ষনাগার তৈরি হলে কৃষকরা অনেক বেশি লাভবান হতো। খর্ণিয়া ইউনিয়নের ভদ্রাদিয়া গ্রামের অন্যতম সফল চাষি প্রকাশ সরকার বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে আগাম সবজি চাষ করে ভাল দাম পেয়ে এবছর নিজের ও ভাড়া নিয়ে মোট ৫ বিঘা জমিতে ২৫ হাজার ফুলকপি’র চাষ করেছি। দু-এক দিনের মধ্যেই বিক্রি শুরু হবে। আর যদি বড় বর্ষা না হয় তবে ভালই লাভ পাবো বলে আশা করছি। উপজেলা কৃষি অফিসার ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, সমগ্র ডুমুরিয়া উপজেলার চাষিরা আগাম ফুলকপি, সিম, তরমুজ, টমেটো-সহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে দেশের বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তারমধ্যে চাষিরা অফ-সিজনের ফুলকপির উৎপাদন করে ভালো লাভ পেয়েছেন।
Leave a Reply