
নিজস্ব প্রতিনিধি:: বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাা নবলোক পরিষদের উদ্যোগে রামপালে ‘মৎস্য ও প্রক্রিয়াজাত মৎস্য পণ্য উৎপাদনকারী এবং ব্যবসায়ীদের বাজার সংযোগ বিষয়ক কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পিকেএসএফ, ইফাদ ও ডেনমার্ক দুতাবাসের আর্থিক সহযোগিতায় আরএমটিপি প্রকল্পের ‘নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্য পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ’শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় বুধবার (২৯ অক্টোবর ২০২৫) রামপাল উপজেলায় মডেল মসজিদের সেমিনার কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালাটিতে রামপাল ও মোংলা উপজেলার উপকারভোগিগণ, মৎস্য উপাদনকারী, মৎস্য পণ্য উৎপাদনকারী, ইনপুট সরবরাহকারী, আড়তদারসহ বাজার লিংকেজের সাথে সংশ্লিষ্ট ২৫ জন বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রামপাল সিনিয়র উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায়। প্রধান অতিথী হিসাবে বক্তৃতা করেন বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস। বিশেষ অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোংলা উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তরুন কুমার মুস্তফী (ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর) এবং সঞ্চালনায় ছিলেন মনিটরিং এন্ড
ইভাল্যুয়েশন কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম। উপস্থিত স্টেকহোল্ডারদের সাথে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। উপস্থিত জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইন-চার্জ), সিনিয়র উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তাগণ প্রকল্পের কর্মকান্ডে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন। মৎস্য কর্মকর্তা মহোদয়গণ বলেন চিংড়ি রপ্তানিতে কোন প্রকার প্রতারণাপূর্ণ উপায়অবলম্বন করা যাবে না তাহলে আপনারা নিজেদের ক্ষতি করবেন, রপ্তানিতে বিশ্ব বাজার হারাবেন।
নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনের পাশাপাশি সতেজ মাছ কিভাবে ভোক্তা ও আড়তদারদেও নিকট পোঁছানো যায়, উৎপাদনকারী যেন সঠিক বাজার মূল্য পায় সে বিষয়ে গুরুত্বের সাথে আলোচনা করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মহোদয়। তিনি পরামর্শ প্রদান করেন উপ-প্রকল্পটি যেসকল ‘রেডি টু কুক’ ও ‘রেডি টু ইট’ উদ্যোক্তাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে তারা যেন উৎপাদিত নিরাপদ মৎস্য খামারিদেও নিকট থেকে ক্রয় করেন তাহলে উভয়ই লাভবান হবেন এবং ভোক্তা পাবে নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য। অর্থ্যাৎ মৎস্য চাষে ইনপুট সরবরাহকারী, মৎস্য উৎপাদনকারী, মৎস্য পণ্য উৎপানকারী ও বাজারজাতকারী স্টেকহোল্ডাদের মধ্যে থাকবে একটি কার্যকর লিংকেজ ও সমন্বয়। মৎস্য কর্মকর্তা মহোদয়গণ নবলোক পরিষদের সার্বিক কর্মকান্ডে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে মৎস্য অধিদপ্তরের সর্বাত্মক সহোযোগিতার আশ্বাস দেন। আরো বক্তব্য রাখেন উদ্যেক্তা মোঃ হামিম সেখ (রেডি টু কুক), আলী আকবর সেখ (মৎস্য চাষী), আছিয়া বেগম (ব্লাক সোলজার ফ্লাই লার্ভা উৎপাদনকারী), হাসিবুর রহমান ইমন (রেডি টু কুক- গ্রাম্য), বাসন্তী মজুমদার (মৎস্য চাষী), দিলীপ কুমার (আড়তদার) প্রমূখ।
Leave a Reply