
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলসমৃদ্ধ দেশ ভেনেজুয়েলায় যেকোনো সময় হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ তথ্য জানান। ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ভেনেজুয়েলার ভেতর থাকা মাদক সাম্রাজ্যের অবকাঠামোই এই হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে।
তার দাবি, ভেনেজুয়েলার মাদক কারবারিরা বিপুল পরিমাণ ফেনটানিল উৎপাদন করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়, যা সেবন করে প্রতি বছর হাজার হাজার মার্কিনির মৃত্যু হচ্ছে। তিনি বলেছেন, শুধুমাত্র গত বছরই এ মাদকের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে দুই লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, নৌপথের মতো আমরা স্থলেও হামলা শুরু করব। আপনারা জানেন, স্থলে হামলা নৌপথের হামলার চেয়ে সহজ, অনেক সহজ। আমরা জানি মাদক চোরাচালানের জন্য তারা কোন পথ ব্যবহার করে। আমরা তাদের সম্পর্কে সব জানি। তারা কোথায় থাকে সব জানি। খারাপ লোকেরা কোথায় থাকে আমরা জানি। সেখানে খুব শিগগিরই আমরা হামলা চালানো শুরু করব।
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে গত কয়েক মাস ধরেই যুদ্ধজাহাজ ও সেনা জড়ো করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ইতোমধ্যে সেখানে বেশ কয়েকটি জাহাজ ও নৌকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। মার্কিনিদের দাবি, এসব নৌযানে করে মাদক চোরাচালান করা হচ্ছিল। এরমধ্যে একটি নৌকাতে মার্কিন সেনাদের দুইবার হামলার ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এতে দেখা গেছে, প্রথম হামলায় নৌকার কয়েকজন নিহত হয়েছেন। তখনও আরও অন্তত দুজন বেঁচে ছিলেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়।
ভিডিও ফাঁসের পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। তবে এটির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন ট্রাম্প। তিনি মন্ত্রিসভায় এ ব্যাপারে বলেন, মাদক চোরাকারবারীরা গত বছর দুই লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা এ সংখ্যা কমাতে যাচ্ছি। মাদকের সঙ্গে জড়িত সেসব কুকুর ছানাদের আমরা শেষ করে দেব। আমরা আর মাদক আমাদের দেশে প্রবেশ করতে দেব না।
এদিকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তিনি এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এসব বলে ট্রাম্প এ দেশে হামলার অজুহাত খুঁজেছেন।
Leave a Reply