মনির হোসেন, মোংলা:: পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে মোংলা বন্দরে জাহাজে কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। ১১ জুন মঙ্গলবার দুপুরে বন্দর ভবন চত্বরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাষ্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশন ও মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেটর এ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বন্দরের শ্রমিক কর্মচারী সংঘের ৩ হাজার ১৫০ জনের মাঝে এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহীন রহমান উপস্থিত থেকে শ্রমিকদের মাঝে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
এসময় বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন কিবরিয়া হক, মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন, মোংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বন্দর ব্যাবহারকারী এইচ এম দুলাল, বন্দর ব্যাবসায়ী মোঃ মশউর রহমান, মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সেন্টু এছাড়াও বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বার্থ ও শিপ অপারেটর এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল ১০ কেজি চাল, ১ কেজি পোলাও চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি, তেল ১ লিটার, ২ কেজি আলু, সেমাই এক (৫০০ গ্রাম) প্যাকেট, গুড়ো দুধ ২৫০ গ্রাম, লবন ১ কেজি করে মোট ১৬ কেজি ৭০০ গ্রাম।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহীন রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনার ফলে মোংলা বন্দরে এখন স্বর্ণ যুগ চলছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে চট্টগ্রামের তুলনায় মোংলা বন্দরে থেকে ঢাকার দুরত্ব ১০০ কিলোমিটার কমে গেছে। এখন মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টায় মোংলা বন্দর থেকে পণ্য ঢাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। রেললাইন চালু হওয়ায় বন্দরের কর্মযজ্ঞ আরও বাড়বে। সরকারের সদিচ্ছায় বন্দরকে ঘিরে নানা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। শ্রমিক কর্মচারীই এই বন্দরের বড় শক্তি। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মোংলা বন্দরকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।
Leave a Reply