নকীব মিজানুর রহমান, বাগরহাট থেকে:: বাগরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান বাদল জামাদ্দার ও তার সহযাগিদের বিরুদ্ধে মাছ ব্যবসায়ীর জমি দখলের অভিযোগ উঠছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক মাছ ব্যবসায়ী আঃ রহিম হাওলাদার বাগরহাট প্রসক্লাবে সংবাদ সম্মলন করে এসব অভিযোগ করছেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ সাল উপজেলার আমড়াগাছিয়া মৌজায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আছাদুজ্জামান মিলনের মালিকানাধীন ৫১.৫০ শতক জমি কবলা মূলে ক্রয় করি। এরপর থেকে শান্তপুর্ণভাবে ওই জমি ভোগ দখল করে আসছিলাম। ওই জমিতে আল আমিন ও পুতুল বেগম ভাড়া থাকতেন। কি ২০২৩ সালের ২১ জুন প্রভাবশালী শাজাহান বাদল জামাদ্দার, জামাল বয়াতি ও জিয়া উদ্দিন একই দাগ থেকে ২৪.৮২ শতক জমি ক্রয় করেন। এরপর থেকে তারা আমার জমি দখলের জন্য তারা পায়তারা করে আসছে। তাদের দলিল চৌহর্দি রয়েছে, তা আমার জমির বিপরীতে। অর্থাৎ আমার জমি সাইনবার্ড বগী সড়কের পশ্চিম পাশে আর চৌহর্দি অনুযায়ী তাদের জমি পূর্ব পাশে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার(২৪ জুন) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শাজাহান বাদল জামাদ্দার, জামাল বয়াতি ও জিয়া উদ্দিনের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর শিকদার, সাগর জামাদ্দার, সাইফুল ইসলাম শুভসহ ২৫-৩০ জন আমার ওই জমিতে প্রবেশ করে ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে ও লুটতরাজ চালায়। ভাড়াটিয়াদের মারপিট করে ঘর থেকে বর কর দয়। ওই ঘর থাকা মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যার মূল্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা এবং ভাংচুর করে আরও এক লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। দ্বিতীয় দফায় (মঙ্গলবার) সকাল ওই জমিত থাকা অণ্য একটি ঘর ভাংচুর করে। পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘরে ভাংচুর বন্ধ করে দেয়। তারা এখনও আমার জমি দখল করে আছে। আমি যেকান মূল্যে আমার জমি ফিরে চাই।
এ বিষয় রায়েদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগর সভাপতি শাজাহান বাদল জামাদ্দার বলেন, আমি কারও জমি দখল করিনি। আমি ওই জমি ক্রয় করছি। জমিতে থাকা আগাছা পরিস্ার করছি শুধু। যদি তার কোন অভিযোগ থাকে তাহলে ইউনিয়ন পরিষদে শালিস মীমাংসার মাধ্যম সমাধান করা যেতে পারে।
শরণখালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঃ কামরুজ্জামান বলেন, দুই পক্ষই জমিটি দাবি করেন। ঘটনায় বিশৃলংখলা এড়াত পুলিশ সতর্ক রয়েছে। জমি-জমার বিষয় দুই পক্ষকে দলিলসহ জমি সংক্রান্ত কাগজ দেখে শালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করে নিতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply