1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৬:২৭ অপরাহ্ন

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অন্য কেউ ইন্ধন দিতে পারে-ডিবি প্রধান

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্য কেউ ইন্ধন দিতে পারে। ঘটনাটি অন্যদিকে ধাবিত করারও চেষ্টা চলছে। শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিবিপ্রধান বলেন, কোটা শুধু বাংলাদেশে নয় অনেক দেশেই প্রচলন রয়েছে। কোটার বিরোধিতা করে কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় আন্দোলন করছে। এরই মধ্যে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সুপ্রিম কোর্ট সবার ভরসাস্থল। আদালতের নির্দেশনা সবার মেনে চলা উচিত।

তিনি বলেন, কেউ যদি আদালতের আদেশ না মানে, আন্দোলনের নামে জান-মালের ক্ষতি করে, সড়ক অবরোধ করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে যৌক্তিক কাজ সেটাই করা হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্য কেউ ইন্ধন দিচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে কি না, ঘটনাটি অন্যদিকে ধাবিত করার চেষ্টা চলছে কি না এসব নিয়ে ডিবির টিম ও পুলিশ কাজ করছে। কেউ যদি হাইকোর্টের নির্দেশনা না মেনে আন্দোলনের নামে সড়কে নেমে অবরোধ করে গাড়িতে হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তবে আমরা ধরে নিতে পারি অনুপ্রবেশকারীরাই এসব কাজ করছে।

এদিকে, চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা, যানবাহনে গতিরোধ ও মারধরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় আসামি হিসেবে ‘অজ্ঞাতপরিচয় অনেক’ উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলার কোনো সুযোগ নেই: ডিএমপি

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ১১ জুলাই কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচি ছিল। সে অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্ররা জড়ো হয়ে বিভিন্ন হলের সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করে বিকেল ৪টায় স্লোগান দিতে দিতে শাহবাগ মোড়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অতিক্রম করে বেআইনি জনতায় আবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করেন। তারা শাহবাগ মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন ও পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন। এসময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের মারধর করে সাধারণ জখম করেন।’

‘পরে তারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা ছাত্রদের বুঝিয়ে শুনিয়ে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে ফিরিয়ে আনতে যান। এ সময় বিএসএমএমইউয়ের পাশে নিরাপদ স্থানে রাখা এপিসি-২৫ ও ওয়াটার ক্যাননের চারদিকে ঘেরাও করে অনেক সংখ্যক আন্দোলনকারী উঠে উদ্দাম নৃত্য শুরু করেন। তারা ওয়াটার ক্যানন চালককে গাড়ি থেকে জোর করে বের করার চেষ্টা ও গতিরোধ করেন। ফলে এপিসি ২৫ এর সামনের দুটি এসএস স্ট্যান্ড, বনাটের উপরে বাম পাশে রেডিও অ্যান্টেনা এবং ডান পাশের পেছনের চাকার মার্টগার্ড চলি ও ওয়াটার ক্যাননের বাম পাশের লুকিং গ্লাস ভেঙে অনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেন।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ছাত্রদের অন্যান্য সিনিয়র স্যাররা বুঝিয়ে-শুনিয়ে এপিসি-২৫ ও ওয়াটার ক্যানন থেকে নামিয়ে আনেন এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পানির বোতল, টেপটেনিস বল ও ইটের টুকরা ছুড়ে মারেন। এতে অনেক পুলিশ আঘাতপ্রাপ্ত হন।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত সব সিনিয়র কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্ররা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহবাগের আন্দোলনে যোগ দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বারডেম হাসপাতালের গেটের ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশ সদস্যদের আহত করেন। তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট