শুভেচ্ছা নতুন বাংলাদেশের হাল ধরার নিমিত্তে সর্বপ্রথম : সংবিধান ২০০ বছর উপযোগী করতে হবে, ২য়, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, প্রশাসন বিভাগ একেবারে চীরতরের জন্য স্বাধীন সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন!
নির্বাচন কমিশন থেকে ১৫ বছর ধরে চাকুরীরত সবাইকে চাকুরীচ্যুত করার অনুরোধ রইল এবং সকল নির্বাচন কমিশনারদের বিচার করতে হবে, নির্বাচনের প্রতিক দুর্নীতির শিকড় নৌকা ও ধানের শীষ চিরতরে বিলুপ্ত করে দিতে হবে।
বিজিবি শহরে থাকতে পারবেনা এবং আবাসন শহর এলাকা থেকে ঊঠিয়ে দিতে হবে, ওরা সিমান্তে থাকবে এবং সীমান্তের রক্ষনাবেক্ষন করবে। ছাত্র জনতার গায়ে গুলি করার আর আশপর্দা যেন না পায়।
যে সকল পুলিশ নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্র জনতাকে গুলী করে হত্যা করেছে তাদের হত্যা করার দায়ে ফাঁশি দিতে হবে।
সর্বশেষ ২০০৯ সালে থেকে এযাবৎ যত গুম ও খুন যারা করেছে এবং জড়িতদের সত্তর বিচার করে ফাসি দিতে হবে। সকলকে চাকুরী থেকে ছাটাই করতে হবে। মেজর সিনহা হত্যাকারী প্রদিপ ও লিয়াকাত পুলিশের খুনিদের ফাসির কাজ অনতিবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
সচিবালয়ে এবং অন্যান্য সকল সরকারী প্রতিষ্ঠানে যে সকল ভারতীয় নাগরিকেরা অবৈধভাবে চাকুরী করছে তাদের অনতিবিলম্বে সাড়াসী তথা ক্লিনকাট অভিযান করে বহিষ্কার করে উক্ত স্থানে আমাদের ছাত্রদের স্থলাভিষিক্ত করতে হবে।
প্রতিটি ডিপার্ডমেন্টে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে যারা ২৫ বছর যাবত ঘুষ, সরকারী তহবিল তসরুপ করে উঁচু উঁচু অট্টালিকা গড়েছে এবং তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠিয়েছে , তাদের সকলের আয়ের যাহার অধিক পাওয়া যাবে উক্ত অর্থ সম্পত্তি সরকারী খাজাঞ্চীর করায়ত্তে নিতে এবং সঠিক সাঁজা দিতে হবে।
২০০৯ সাল থেকে যে সকল মানুষদের বিসিএস পাশ দেখিয়ে চাকুরী পেয়েছে বা বিতাড়িত পলাতক সরকার দিয়েছে বেআইনি পন্থায় তাদের বিদায় করে, উক্তস্থানে সেই সময়কার উপযুক্ত ছাত্রদের চাকুরী দিতে হবে!
পুর্বে ঘটিত এবং জড়িত অন্যায়ের বিচার করে সকলকেই সাঁজা দিতে হবে এবং শেখ হাসিনা এবং চোর মাতাল অশিক্ষিত ছেলে মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে ও বিচার করতে হবে। সকল জড়িত মন্ত্রী, সচিব, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সরকারি কর্মচারিদের দুর্গম গতিতে অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জনের বিচার করতে হবে।
এই সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে ,সাথে সাথে সংবিধানকে পুনরায় ২০০ বৎসর উপযোগী করার পর নতুন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন দেবেন। কারোর আবার হাওয়ার দোকান খোলার দাবিতে নির্বাচন দেবেন। হাওয়ার দোকানদার ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় লন্ডনে বসে হাওয়ার মাধ্যমে ফরম বিক্রির শত কোটি টাকা কামিয়েছে।
আমার পরিষ্কার কথা যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা ভারত মুক্ত হয়েছি তাদের কথাই ফাইনাল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা দেশকে দুর্নিতী মুক্ত করবে যেদিন, সেদিন দেশ হবে স্বাধীন! বুড়ো হ্যাঁগারদের পরামর্শ শুনবে কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবে দেশের মালিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ।
যে সকল বিচার করতে হবে:
ভবিষ্যতে যে ঘুস, দুর্নীতি এবং সরকারি তহবিল তসরুপ করবে তাদের প্রমাণ সাপেক্ষে দুটো হাত কেটে ফেলাসহ দুটো চোখ উপড়ে ফেলতে হবে।
বিডিআর হত্যার বিচার করতে হবে সংঙ্গে সংঙ্গে বিজিবির নাম পরিবর্তন করে বিডিআর নাম পুনর্বহাল করতে হবে।
২০০৯ সাল থেকে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ভারতীয় দালালের সংঙ্গে যে সকল চুক্তি অনতিবিলম্বে উহা বাতিল ঘোষণা করতে হবে। বাংলাদেশের কোন কিছুই ভারতকে ব্যাবহার করতে দেওয়া হবেনা।
মুক্তি যোদ্ধা ভাতা সামায়িকভাবে বন্ধ করে, জালেম হাসিনা স্বাক্ষরিত ভুয়া মুক্তিদ্ধোদের নাম বাতিল করে সেই আসল ২৫৬০০০ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা পুনর্বহাল করতে হবে।
১৫ বছরে হওয়া সকল ম্যাজিট্রেট এবং সমগ্র বাংলাদেশের তথকথিত বিচারকদের চাকুরিচ্যুত করতে হবে। এরা বিচার নাকরে অবিচার করেছে এবং ঘুসের বিনিময় অপরাধীকে নিরপরাধী করে, নিরপরাধিকে অপরাধী করেছে অর্থাৎ হারিয়েছে, এই সকল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারকদের দৃস্টান্তমুলক সাজা দিতে হবে, যেন ভবিষ্যতে কেউ এইধরনে অবিচার করার শাহস না পায়।
খুনি, গুমি চোর হাসিনার আমলে ব্যাঙয়ের ছাতার মতো অনেক ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই সকল ব্যাংকের শতভাগ চেয়ারম্যানই পরিচালকদের রিক্সা কেনার ক্ষমতা ছিলনা তাদের বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ ধার দিয়ে কাঠাল রানি বিভিন্ন ব্যাংকের চোরম্যান ও চোরচালক বানিয়েছে। এইসকল ব্যাংকগুলি বন্ধ করতে হবে।
হাসিনা, কাদের, জয়, মাহামুদ হাসান ও কামালকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে এনে বিচার করতে হবে।
স্বাধিনতা ভোগের অপেক্ষায় রইল জনগণ। বাংলাদেশ চিরঞ্জিব হউক!
Leave a Reply