1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
আগে বিচার ও সংস্কার, তারপর নির্বাচন-নাহিদ ইসলাম গাজায় এক দিনে নিহত আরও ১৩৮ ফিলিস্তিনি বিগত বছরগুলোর সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্ত হবে-প্রেস সচিব পাইকগাছায় বনবিবি’র বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন ধান ও চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে খুলনা বিভাগের সুনাম রয়েছে-খাদ্য উপদেষ্টা পাইকগাছায় খাবারে চেতনা নাশক মিশিয়ে স্বর্ণালংকার সহ নগদ টাকা লুট জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে গুজব ও ভুয়া সমন্বয়কারীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ,সতর্ক করলেন সহকারী মুখপাত্র বোখারী শিকদার ১৬১১১-এ ফোন পেয়ে অসুস্থ যাত্রীকে চিকিৎসা সেবা দিলো কোস্টগার্ড ভোলায় ৭ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ করল কোস্টগার্ড চীনের কাছে ট্রাম্পের ‘আত্মসমর্পণ’, নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র

পাইকগাছায় তাবুতে শত শত পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

পাইকগাছা (খুলনা):: খুলনার পাইকগাছার দেলুটীর দুর্গত এলাকার বাঁধ মেরামতের পর পানি সরে গেলেও গত দুই সপ্তাহে এখনো ঘরে ফিরতে পারেনি শত শত পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত এ সব পরিবার ওয়াপদার রাস্তার নীচে তাবুতে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। অপরদিকে ২ হাজার হেক্টর কৃষি জমির আমন ফসল উৎপাদন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ত্রাণ নয়, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ সহ পুনর্বাসন সহায়তার দাবী জানিয়েছে দুর্গত এলাকার মানুষ।

উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট উপজেলার দেলুটী ইউনিয়নের কালিনগর এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ২২ নং পোন্ডারের ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে ১৫ হাজার মানুষ। হাজার হাজার মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে ৫ দিন চেষ্টার পর ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়। ইতোমধ্যে বাঁধ মেরামতের পর পানি সরে গেলে বিপুল পরিমাণ ক্ষত চিহ্ন রেখে গেছে ভাঙ্গন কবলিত দুর্যোগ। দেলুটী ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল বলেন, বন্যা পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ নিরুপন করা হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১৩শ ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪৫৫ একর জলাশয়ের মাছ ভেসে গেছে, ২৫টি মন্দির, ১২টি মসজিদ, ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ৪৯ কিলোমিটার পাঁকা রাস্তা, ২০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা, ১৮টি কালভার্ট, ১২০ হেক্টর আমন বীজতলা, ২০ হেক্টর তরমুজ ও ১৩ হেক্টর সবজি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এ বন্যায় হাজারেরও বেশি কাঁচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় গত দুই সপ্তাহে ঘরে ফিরতে পারেনি অনেক পরিবার। ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এ সব শত শত পরিবার ভদ্রা ও হাপরখানা নদীর ধার দিয়ে ওয়াপদার রাস্তার নীচে তাবুতে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দুর্গাপুর গ্রামের গৌর মন্ডল জানান, বন্যায় বসবাসের ঘর বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েগেছে। এ কারণে এখনো বাড়ি ফিরতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্ত ঘর বাড়ি মেরামত করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে তাবুতে বসবাস করছেন বলে জানান ঝর্ণা মন্ডল। তেলিখালী গ্রামের মোজাম মন্ডল জানান, বন্যায় বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখনো আমন ধান রোপন করতে পারিনি। ধানের চারার অভাবে দুর্গত এলাকার ২ হাজার ২শ হেক্টর কৃষি জমির আমন ফসল উৎপাদনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে জানান তেলিখালী গ্রামের কৃষক মোনতাজ আলী। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসীম কুমার দাশ বলেন বন্যা পরবর্তী দুর্গত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ২শ কৃষককে ধানের চারা, ৩শ কৃষককে সবজি বীজ ও সাড়ে ৪ হেক্টর জমির আমন বীজ সরকারিভাবে বিনামূল্যে সহায়তা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, দুর্গত এলাকার মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে সবধরণের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ত্রাণ নয়, পুনর্বাসন সহায়তা সহ টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন দুর্গত এলাকার মানুষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট