মোঃ জাহিদুল ইসলাম:: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে সরকারীকরণের আওতায় এলো খুলনার খালিশপুর এলাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পিপলস্ জুট মিলস্ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে শিল্পাঞ্চল খালিশপুর এর জুট মিল গুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকদের সন্তানদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দীর্ঘ চরাই উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে গত ১০ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ করা হয় এবং নতুন নামকরণ করা হয় পিপলস্ জুট মিলস্ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এদিকে বিদ্যালয়টি সরকারি করন ঘোষণায় শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবকগণ সহ শিল্পাঞ্চল এলাকায় উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে।
অন্যদিকে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন বস্ত্র ও পাঠ সচিব আব্দুর রউফ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি। একইসঙ্গে অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এ বি এম মশিউর রহমান-এর ভূমিকাও ছিল প্রশংসনীয়। পাশাপাশি
বিদ্যালয়টি সরকারি করণে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হালিম, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শংকর কুমার মজুমদার, সহকারী শিক্ষক মোঃ মোতালেব মিয়া, সাবেক প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী হক, এবং সিনিয়র শিক্ষক হালিমা খাতুন,সহকারী শিক্ষক মোঃ অহিদুর রহমান, মোঃ তরিকুল ইসলাম, মোঃ শামীম হোসেন, শ্যামল বিশ্বাস, মোছাঃ তামান্না শারমিন, মোছাঃ নুরজাহান ইলাহী, সুলতান মাহমুদ উল্লেখযোগ্য।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়টি সরকারীকরণে শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ সহ সকলেই অত্যন্ত আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। এই সরকারিকরণে শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪০০ জন শিক্ষার্থী ও ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। তবে পূর্বের মতো আগামীতেও আরো ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখতে সচেষ্ট থাকবেন বলে জানান তিনি। একই সাথে শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অত্র অঞ্চলের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
একই সাথে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ বর্তমান সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং বিদ্যালয়ের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের এই উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আরও উন্নত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে প্রত্যাশা করে মন্তব্য করেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ।
Leave a Reply