নিজস্ব প্রতিনিধি:: জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে ‘জুলাইয়ের মায়েরা (গড়ঃযবৎং ড়ভ ঔঁষু)’ শীর্ষক অভিভাবক সমাবেশ শনিবার দুপুরে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ও কেসিসি’র প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকার। খুলনা জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই আন্দোলনে সকল শহীদের মায়ের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধান অতিথি বলেন, জুলাইয়ের চেতনাকে বুকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জুলাই বিপ্লবের আগে বাংলাদেশ যে দুর্যোগের মধ্যদিয়ে অতিক্রম করছিল সেটারই অবসান ঘটিয়েছে ছাত্র-জনতার চব্বিশের গণআন্দোলন। এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন করে বাংলাদেশ পেয়েছি ঠিকই, তবে তার বিনিময়ে অনেক বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানকে হারিয়েছে। সন্তান হারানোর বেদনা যে কত কষ্টের তা একজন বাবা-মা ভালোভাবে জানেন। স্বজন হারানোর ব্যাথা শুধু সেই জানে যে হারিয়েছে। এসময় প্রধান অতিথি আরও বলেন, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে নতুন করে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদেরকে তো আর আমরা ফিরে পাবো না তবে এর প্রতিদান হিসেবে জুলাই সনদ হওয়া আবশ্যক বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে শহীদ শেখ মোঃ সাকিব রায়হানের মা নুরুন নাহার বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) আবু সিদ্দিক শুভ্র, মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনার সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, জুলাই যোদ্ধা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য শেখ রাশিদুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক শেখ দিদরুল আলম, শিক্ষার্থী সাইফ নেওয়াজ, জুলাই কন্যা শামসুন নাহার নিশিসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যরা বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন মহিলা বিষয়ক দপ্তরের উপপরিচালক সুরাইয়া সিদ্দিকা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই গণআন্দোলন বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্য, জুলাইয়ের মায়েরা, ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে আন্দোলনের সময়ের সহিংসতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
Leave a Reply