পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :: টানা বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় জলাবদ্ধতা নিরসন এবং মিনহাজ নদীর নেট-পাটা অপসারণ করে পানি নিস্কাশনের পথ উন্মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৩ আগস্ট) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন প্রধান সড়কে গড়ইখালী, লস্কর ও চাঁদখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে এই কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, টানা বৃষ্টিতে কয়রার আমাদীসহ পাইকগাছার গড়ইখালী, লস্কর ও চাঁদখালী ইউনিয়নের হাজার হাজার বিঘা মাছের ঘের, আমন মৌসুমের বীজতলা, রাস্তাঘাট ও শস্যক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এমনকি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ির আঙিনাও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, মিনহাজ নদীর জলমহালে মাছ চাষের জন্য স্থাপিত নেট-পাটা পানি নিস্কাশনের প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে এলাকার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে নেট-পাটা অপসারণ ও স্লুইস গেটগুলো সংস্কারের দাবি জানান।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার একেএম গোলাম আযম। সঞ্চালনায় ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আঃ রব গাজী। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, স.ম. রেজাউল করিম, মাওলানা মোজাফফর হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা ইয়াসিন আলী, মোঃ জাহাঙ্গীর সরদার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শামসুর রহমানসহ অনেকেই।
এদিকে, জলমহালের ইজারাপ্রাপ্ত পাতড়াবুনিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. এর সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন, মিনহাজ নদীর জলমহালে কোনো নেট-পাটা নেই। তিনি জানান, এলাকার জলাবদ্ধতার মূল কারণ হলো আমাদী, গড়ইখালী, লস্কর ও চাঁদখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ স্লুইস গেট অকেজো হয়ে পড়া। তার দাবি অনুযায়ী, মিনহাজ নদীর গেট দিয়ে পানি নিস্কাশন স্বাভাবিকভাবে চলছে।
এ বিষয়ে প্রশাসনিক উদ্যোগ ও দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
Leave a Reply