1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:১২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ভারতকে পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি: ‘অভিযান চালালে এবার হামলা হবে গভীরে’ অন্তর্বর্তী সরকার নয়, বাংলাদেশ চালাবেন রাজনীতিবিদরাই-ড. আলী রীয়াজ পুলিশের ৭৬ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি পাইকগাছার পল্লীতে বাসস চেয়ারম্যানের উদ্যোগে দুই সহস্রাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা পাইকগাছার চার ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের মিনহাজ নদী পরিদর্শন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় মোংলা বন্দরের সক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাই- রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান বটিয়াঘাটায় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত সুন্দরবনে অস্ত্র গুলিসহ আসাবুর বাহিনীর দুই সহযোগী আটক আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭২ সালের সংবিধান অপ্রয়োগ করেছে-ড. মুহাম্মদ ইউনূস

পাইকগাছার চার ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের মিনহাজ নদী পরিদর্শন

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:: পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে মিনহাজ নদী পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম শামীম-এর নেতৃত্বে টিমটি মিনহাজ নদীর বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করেন।

পরিদর্শনকালে টিমটি নদী সংশ্লিষ্ট নানা সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানে জরুরি করণীয় নির্ধারণ করে। এতে উল্লেখযোগ্য ছিল, খাল পুনঃখনন, স্লুইচ গেটসমূহের সংস্কার এবং পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়ন করা গেলে গড়ইখালী, লস্কর, চাঁদখালী ও আমাদী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ী মুক্তি পাবে।

উল্লেখ্য, মিনহাজ নদী পাইকগাছা ও কয়রার চারটি ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম। বর্তমানে নদীটি ছয় বছর মেয়াদি ইজারার আওতায় রয়েছে। প্রতিবছর বর্ষায় অতিবৃষ্টির ফলে নদীর দুপাশে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। চলতি বছর বৃষ্টির মাত্রা বেশি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এর ফলে ধ্বংসের মুখে পড়েছে বীজতলা, সবজি ক্ষেত, মৎস্য ঘের ও আমন ধান।

জলাবদ্ধতার প্রকট পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে এলাকাবাসী সম্প্রতি অবস্থান কর্মসূচি পালন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই গঠিত হয় প্রশাসনিক পর্যবেক্ষণ টিম।

পরিদর্শন শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম শামীম বলেন, শুধু ইজারাদার নয়, নদীর কিছু অংশ ব্যক্তি মালিকানায় বন্দোবস্ত থাকায় সেগুলো বাঁধ দিয়ে আটকানো হয়েছে, যার ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া স্লুইচ গেটগুলোর সামনে পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনে বড় ধরনের বাধা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুরাতন গেটগুলোর ধারণ ক্ষমতাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

তিনি আরও বলেন, খাল খনন, স্লুইচ গেট সংস্কার এবং লস্কর ও চাঁদখালী এলাকার গেট সচল রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলের দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হবে।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একরামুল হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক, গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু, লস্কর ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সানা, ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আহাদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি আবু তাহের গাজী, ইউপি সদস্য টিএম হাসানুজ্জামান, সাবেক ইউপি সদস্য আক্কাস আলী ঢালী, জামায়াত নেতা মাওলানা মোজাফফর হোসেন, আসমাতুল্লাহ শিকারী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং ইজারাদার আব্দুল্লাহ আল নাঈম বাপ্পি।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট