আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস যদি চলমান যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত মেনে না চলে, তাহলে ইসরাইলকে আবারও গাজায় অভিযান চালাতে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এই বক্তব্যের বিষয়টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এ প্রচারিত হয় এবং পরে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি তা নিশ্চিত করে। ইসরাইল যদি চায়, ওদের গুঁড়িয়ে দিতে পারে
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘হামাসের সঙ্গে কী হচ্ছে তা শিগগিরই পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি এখন পর্যন্ত ওদের (ইসরাইল) থামিয়ে রেখেছি। কিন্তু যদি হামাস নিরস্ত্র হতে অস্বীকৃতি জানায়, আমি চাইলে এখনই ইসরাইলকে আবার রাস্তায় নামিয়ে দিতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ইসরাইল যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তারা হামাসকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইসরাইলি ২০ জন জীবিত বন্দির মুক্তি এই মুহূর্তে তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। একইসঙ্গে তিনি বলেন, হামাসকে অবশ্যই চুক্তি অনুযায়ী বাকি মরদেহগুলো ফেরত দিতে হবে এবং অস্ত্র পরিত্যাগ করতে হবে।
হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা চুক্তি অনুযায়ী সব জীবিত বন্দিকে হস্তান্তর করেছে। এ ছাড়া যে কয়টি মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, সেগুলোও ফেরত দেওয়া হয়েছে।
তবে হামাসের দাবি, এখনও উদ্ধার না হওয়া মরদেহগুলো উদ্ধারে বিশেষ যন্ত্রপাতি এবং সময়সাপেক্ষ অভিযানের প্রয়োজন রয়েছে। তারা এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে এবং সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানানো হয়।
গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাস একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় সম্মত হয়।
পরিকল্পনার আওতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর, ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি, ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময় এবং ধীরে ধীরে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই চুক্তির আওতায় গত শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়। এতে হামাস ২০ জন জীবিত ইসরাইলি বন্দি এবং ৮ জনের মরদেহ হস্তান্তর করে। বিনিময়ে ইসরাইল ২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়
Leave a Reply