 
							
							 
                    
নিজস্ব প্রতিনিধি:: বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা নবলোক পরিষদের উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা এ ‘প্রদর্শনী প্লটের ফলাফল প্রদর্শনের জন্য মাঠ দিবস’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই মাঠ দিবসে মূলত ব্লাক সোলজার ফ্লাই লার্ভা প্রতিপালনের ফলাফল প্রদর্শনীকে তুলে ধরা হয়। পিকেএসএফ, ইফাদ ও ডেনমার্ক দুতাবাসের আর্থিক সহযোগিতায় আরএমটিপি প্রকল্পের ‘নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্য পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর ২০২৫) রামপাল উপজেলার তালবুনিয়া গ্রামে এ প্রদর্শনীর আয়োজন
করা হয়। রামপাল উপজেলার মেরিন ফিশারিজ অফিসার মোঃ হেলাল উদ্দিন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের ভ্যাল্ ুচেইন ফ্যাসিলিটেটর (ভিসিএফ) তরুন কুমার মুস্তফী, ব্লাক সোলজার ফ্লাই লার্ভা প্রতিপালনের সফল নারী উদ্যোক্তাগণ, মৎস্য চাষিগণ এবং এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন এনামুল মোল্যা (সহকারী ভ্যাল্ ুচেইন ফ্যাসিলিটেটর)। ভিসিএফ বলেন শুকনো অবস্থায় ১ কেজি এই ব্লাক সোলজার ফ্লাই লার্ভাতে রযেছে অপরিশোধিত প্রোটিন ৪৩১ গ্রাম, ফ্যাট ৩৮৬ গ্রাম, ফাইবার ৪১ গ্রাম, অ্যাশ ২৭ গ্রাম, কাইটিন ৬৭ গ্রাম; এছাড়াও এতে রয়েছে অপরিহার্য অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, এবং সমৃদ্ধ মিনারেল যা মাছ/মুরগীর বৃদ্ধি ও রোগ সংক্রমণমুক্ত রাখে। ব্লাক সোলজার ফ্লাই লার্ভা প্রতিপালনের সাফলতার কথা বলেন আছিয়া বেগম এবং তাছলিমা বেগম। তারা বলেন নবলোক পরিষদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এই পোকা ও লার্ভার চাষ করে লাভবান হচ্ছি। একদিকে যেমন খাদ্য হিসেবে মাছ ও মুরগিকে খাওয়াচ্ছি অন্যদিকে বিক্রি করে উপার্জনও করছি। মাছ ও মুরগিকে খাওয়ালে দ্রুত বাড়ে ও খাবারও কম লাগে ফলে মাছের উৎপাদন খরচ কমে যায়। তাঁরা বলেন মাসে গড়ে ৮০-১০০ কেজি পর্যন্ত ব্লাক সোলজার ফ্লাই লার্ভা উৎপাদন করছি এবং লার্ভা বিক্রির বাজার সম্প্রসারিত হলে বেশী করে উৎপাদন করবো। মাঠ দিবসে আরো বক্তব্য রাখেন লিড ফার্মার বাসন্তী মজুমদার, মৎস্য চাষী মোঃ মোফিজ মোল্ল্যা, খোদেজা বেগম সহ আরো অনেকে।
Leave a Reply