1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
সরকার সকলক্ষেত্রে নারী উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছেন -গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের ডিজি ত্রাণ প্রবেশে কড়াকড়ি-যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজায় বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্যা অস্ত্র উৎপাদন ও রপ্তানি করবে বাংলাদেশ পরিবেশকে প্রভাবমুক্ত রেখে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরির আহ্বান ক্যান্সার মোকাবিলায় জাতীয় সচেতনতা জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যশোরের শার্শা সীমান্তে ইছামতি নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ১৬ কেজির পাঙ্গাস বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শামসুর রহমান এর মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল দুর্ঘটনা রোধ ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে কেএমপি’র ট্রাফিক সচেতনতামূলক র‌্যালি সোমবার দুবলার চরে শুরু হচ্ছে তিনদিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাশ উৎসব পাইকগাছায় নদীর চর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবক উদ্ধার

ত্রাণ প্রবেশে কড়াকড়ি-যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজায় বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্যা

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ফিলিস্তিনের গাজায় প্রতিশ্রুত ত্রাণের মাত্র এক-চতুর্থাংশ ঢুকতে দিচ্ছে ইসরায়েল। অর্থাৎ মোট ত্রাণের ৭৫ শতাংশই আটকে রেখেছে দেশটি।

এদিকে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা ও মানবিক সংকট। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েল গাজায় প্রতিশ্রুত ত্রাণসামগ্রীর খুব সামান্য অংশই প্রবেশ করতে দিচ্ছে।

শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর জানায়, ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩ হাজার ২০৩টি বাণিজ্যিক ও ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১৪৫টি ট্রাক প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। যা যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে নির্ধারিত দৈনিক ৬০০ ট্রাকের মাত্র ২৪ শতাংশ।

বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণ ও বাণিজ্যিক পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে বাধা দিচ্ছে। এর ফলে ২৪ লাখেরও বেশি মানুষের মানবিক সংকট ভয়াবহভাবে বেড়েছে। আর এর দায় সম্পূর্ণ ইসরায়েলের।”

এমন অবস্থায় “কোনও শর্ত বা বিধিনিষেধ ছাড়াই” ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

মূলত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ত্রাণ প্রবাহ কিছুটা বাড়লেও ইসরায়েলি বিধিনিষেধের কারণে গাজার অধিকাংশ মানুষ এখনো খাবার, পানি, ওষুধসহ মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র সংকটে রয়েছেন।

এছাড়া দুই বছরের লাগাতার ইসরায়েলি হামলায় বহু পরিবার এখনো আশ্রয়হীন। ঘরবাড়ি ও পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অনেকেই এখন খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক গত বৃহস্পতিবার বলেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রুট পরিবর্তনের কারণে ত্রাণ কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “এখন কনভয়গুলোকে মিসরের সীমান্তঘেঁষা ফিলাডেলফি করিডর হয়ে উপকূলীয় সংকীর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা দিয়ে যেতে হচ্ছে, যা মারাত্মকভাবে যানজটে আক্রান্ত।”

তিনি আরও জানান, ত্রাণ কার্যক্রম জোরদারে অতিরিক্ত সীমান্তপথ ও অভ্যন্তরীণ রুট চালুর প্রয়োজন রয়েছে।

এদিকে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে ইসরায়েলি বাহিনী শনিবারও গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস এলাকায় বিমান, কামান ও ট্যাংকের গোলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়।

উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পূর্বদিকে কয়েকটি আবাসিক ভবনও গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজজুম জানিয়েছেন, খান ইউনিসে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, “ইসরায়েলি ড্রোন আর ভারী গোলাবর্ষণে ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আকাশে ড্রোনের অব্যাহত উপস্থিতি ও বোমাবর্ষণের কারণে গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২২২ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫৯৪ জন আহত হয়েছেন।

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট