
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের পর ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ভারতের আশ্রয়ে আছেন। ঢাকার ট্রাইব্যুনাল তার অনুপস্থিতিতেই বিচার সম্পন্ন করেছে। রায় ঘোষণার সময় কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কাতারভিত্তিক আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত।
তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে আদালতের রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু ভারত তাকে কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না। গত দেড় বছরে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত আরও বলেন, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কোনো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরাও একমত যে, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”
তিনি মনে করেন, “আওয়ামী লীগ এখন পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরি করার চেষ্টা করবে। তবে বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন, শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
Leave a Reply