
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:: পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালীর বাইনবাড়িয়া গ্রামে জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনাকে ঘিরে ঐ এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখা যায়।
জানা যায়, হাতিয়ার ডাঙ্গা গ্রামের বিজন বাছাড়ের ছেলে কমলেশ বাছাড়ের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৮ বিঘা জমি (খতিয়ান নং– ২৫১৪ ও ২৫১৬) বাইনবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত। বহু বছর ধরে তিনি পাইকগাছা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আমিনুর রহমানকে দিয়ে যৌথভাবে এ জমিতে ধান ও তরমুজ চাষ করিয়ে আসছেন। চলতি বছরের শ্রাবণ মাসে রোপণ করা ধানও স্থানীয়দের জানা মতে তাদেরই চাষ করা।
এমতাবস্থায় মঙ্গলবার(২ ডিসেম্বর) শান্তা গ্রামের মোঃ লিটন গাজী ওরফে দুঃখী তার দলবল নিয়ে দীর্ঘদিনের ভোগদখলকৃত এ জমিতে প্রবেশ করে কাঁচা ধান কাটতে শুরু করলে জমির বর্তমান দখলদারদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এদিকে এ খবর পেয়ে অত্র ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম টাকু ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন এবং উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে কাটা ধান তার জিম্মায় রাখা হয়।
যৌথ চাষি মোঃ আমিনুর রহমান বলেন,
আমি বহু বছর ধরে কমলেশ বাছাড়ের জমি যৌথভাবে নিয়মিত চাষ করে আসছি। আমার ভোগদখলকৃত জমিতে এভাবে অনধিকার প্রবেশ করে ধান কাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
অন্যদিকে লিটন গাজী ওরফে দুঃখী দাবি করেন, আমরা আমাদের নিজস্ব জমির ধান কেটেছি। জমিটির বিআরএস খতিয়ান নং–২৫১৫, পরিমাণ ৬৬ শতক। অন্য কারও জমির ধান কাটা হয়নি।
ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম টাকু জানান, বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে মিমাংসার জন্য কাটা ধান আপাতত আমার জিম্মায় রাখা হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই করে যাহার জমির অধিকার সঠিক প্রমাণিত হবে তাকে ধান বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি দাবি করেন, লিটন গাজী ওরফে দুঃখীর বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, দ্রুত এ বিষয়টির সমাধান না হলে বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে।
Leave a Reply