
মনির হোসেন, মোংলা:: মোংলা বন্দরে সমুদ্রগামী জাহাজের কারণে অনেক বর্জ্যর সৃষ্টি হয়। এই বর্জ্যের কারণে অনেক সময় সুন্দরবনের পরিবেশও নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। এই অবস্থায় মোংলা বন্দরে আগত সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে বর্জ্য দূষণ থেকে সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষার্থে সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক ‘পোর্ট রিসিপশন ফ্যাসিলিটি’ (পিআরএফ) প্রকল্পটির কাজ ইতিমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে।
মোংলা বন্দরের শিল্পাঞ্চলের নদীর পাড়ে নবনির্মিত পোর্ট রিসিপশন ফ্যাসিলিটি (পিআরএফ) বন্দরের বর্জ্য এবং নিঃসৃত তেল সংগ্রহ করে তা শোধন ও পুনর্ব্যবহার করা এবং পরিবেশ দূষণ রোধ করে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এই প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি আধুনিক বর্জ্য সংগ্রহকারী জলযান সংযোজন করা হয়েছে যার ফলে জাহাজের বর্জ্য সমুদ্রে ফেলা রোধ করা যাবে এবং সুন্দরবনকে দূষণ থেকে রক্ষা করা যাবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ১১৪ কোটি ৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত পোর্ট রিসিপশন ফ্যাসিলিটি প্রকল্পের পুরো কাজ সমাপ্ত হওয়ায় এটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর
জাহাজ থেকে তেল সংগ্রহ এবং অপসারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নদী ও সামুদ্রিক জীবনচক্র রক্ষার পাশাপাশি সুন্দরবনের পরিবেশগত সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবে।
সংস্থাটি আরো জানায়, নবনির্মিত ‘পোর্ট রিসিপশন ফ্যাসিলিটি’ মোংলা সমুদ্র বন্দরকে আরো আধুনিক এবং পরিবেশবান্ধব করে তুলবে এবং আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষার নিয়ম মেনে চলতে সাহায্য করবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সিনিয়র উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জাতীয় অর্থনীতিতে বন্দরের গুরুত্ব বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনৈতিক গুরুত্বের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশগত দিকও আমাদের বিবেচনা করতে হবে। সেই দিক বিবেচনা করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জাহাজ থেকে নিঃসৃত তেল অপসারণের জন্য পোর্ট রিসিপশন ফ্যাসিলিটি (পিআরএফ) উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।
বন্দরের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, একটি বন্দরের আন্তর্জাতিক সুনাম ও রেটিং বৃদ্ধির জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জাহাজের নিঃসৃত তেল অপসারণের আধুনিক ব্যবস্থা থাকা খুবই জরুরি। বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পোর্ট রিসিপশন ফ্যাসিলিটি’ প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বন্দরের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও ভূমিকা রাখবে।
Leave a Reply