
সাহারুল ইসলাম ঘোড়াঘাট দিনাজপুর প্রতিনিধি :: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আমন ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।এ উপজেলায় এবার ১হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ধান আবাদ হয়েছে। বিভিন্ন হাট-বাজারে সীমিত আকারে উঠতে শুরু করেছে আমন ধান।
নতুন ধান কেটে বাড়িতে আনায় নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে সৌরভ ছড়াচ্ছে কৃষকের ঘর। অন্যদিকে, নতুন ধান কেটে মাড়াই করে খড়ের দামও পাচ্ছে কৃষক। এতে কৃষকরা খুশি।
এমনি দৃশ্য এখন প্রতিনিয়ত চোখে পড়ছে এ উপজেলায় । আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগবালাই না হওয়ায় আমনের ভালো ফলন আশা করছেন কৃষকরা।
ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক পরিবারে বইছে খুশির জোয়ার। ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন। বেশ কিছু এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে,১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ধানকাটা পুরোদমে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।আগাম সোনালি ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক।
কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ক্ষেত থেকে ধান কেটে আনার পর বাড়ির উঠানে মাড়াই করছি। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াই শেষে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ধান কাটার পর অনেক কৃষক এই জমিতে এখন আলু, ভূট্টা, গমসহ শীতকালীন সবজি চাষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আবার কেউ শুরু করেছেন। আগাম জাতের ধান বীজতলায় বীজ বপনের দিন থেকে মাত্র ১২০ দিনের মধ্যেই আগাম জাতের এসব ধান ঘরে তোলা হচ্ছে।
বৈদর গ্রামের আনসার আলী জানান, আগাম জাতের ধান আবাদ করে ধান কাটার পর ওই জমিতে ভূট্টা লাগাবেন তিনি। চাঁদপাড়া গ্রামের কৃষক হামিদুল ইসলাম জানান, তিনি এবার আমন মৌসুমে বিভিন্ন জাতের আগাম ধান চাষে লাভবান হয়েছেন। আগাম জাতের ধান কাটার পর সেই জমিতে ভূট্টা চাষ করবো। ঘোড়াঘাটের রাণীগঞ্জ হাটে প্রতিমণ প্রকারভেদে ধান বিক্রি হয়েছে৯০০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
কৃষক ইসলাম বলেন,এ মৌসুমে আগাম জাতের বিনা ৯০ ধানের দাম বেশি হওয়া এবারও সেই ধান চাষ করেছি। এবার ধানে লোকসান না হলেও লাভের মুখ দেখবো না।
ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে ১১ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অতিরিক্ত ১ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। এরমধ্যে আগাম জাতের আমন চাষ হয়েছে ১ হাজার হেক্টর জমিতে। যা গত বছর ছিল ৯০০ হেক্টর। এবার ১০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আমন বেশ।
Leave a Reply