দাকোপ(খুলনা) প্রতিনিধি:: দাকোপে খোনা গ্রামে ঢাকী নদীতে পাউবো’র ৫০মিটার বেড়িবাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পর বাঁধটি আটকানোর এক সপ্তাহ পর ওই বাঁধের পশ্চিম পাশে নতুন করে আবারও প্রায় ৫০মিটার বাঁধের মধ্যে অর্ধেকটা বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন। নতুন করে এ বাঁধ ভাঙ্গায় আতঙ্কে রয়েছে ২টি গ্রামের হাজারো পরিবার।
সরজমিনে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পাউবো’র দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঢাকী নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে উপজেলার পাউবো’র ৩১নং পোল্ডারের পানখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডেও খোনা গ্রামের বেড়িবাঁধের ৫০ মিটার বাঁধ নদী গর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়। পরবর্তীতে পাউবো কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় শ্রমিক নিয়ে ২৩ মিটার লম্বা ১২টি টিউবে প্রতিটিই বালু ভর্তি এবং ৫ হাজার বালু ভর্তি জিও ব্যাগসহ সকল সরঞ্জম নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং ৮ সেপ্টেম্বর বাঁধটি আটকাতে সক্ষম হন। বাঁধটি আটকানোর পর এ বাঁধ থেকে প্রায় ৯০ মিটার অদুরে এক সপ্তাহ পর পশ্চিম পাশে আবারও নতুন করে ৫০ মিটার বাঁধের মধ্যে অর্ধেক বাঁধ ঢাকী নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ বাঁধে আবারও ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় খোনা ও বারুইখারী গ্রামের হাজারো পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহম্মেদ বলেন, খোনা গ্রামের ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আমাদের সার্বিক সহযোগিতায় বাঁধটি আটকাতে সক্ষম হয়েছিলাম। এখন এই বাঁধ থেকে প্রায় ৯০ মিটার অদুরে আবারও নতুন করে প্রায় ৫০ মিটার বাঁধের অর্ধেকটা ঢাকী নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এই মুহুর্তে এ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধটি দ্রুত সংস্কার বা এখানে বিকল্প বাঁধ নির্মাণ না করলে আবারও গ্রামের শতশত কৃষক তারা অপূরনীয় ক্ষতির সম্মুখিন হবেন।
পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুজয় কর্মকার বলেন,খোনা গ্রামে নতুন করে ৫০মিটার বাঁধ ভাঙ্গতে শুরু করেছে সেখানে পাউবো’র উপ-সহকারি প্রকৌশলীর গোপালের নেতৃত্বাধীন কাজ অব্যহত রেখেছেন। আশাকরছি বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ার তেমন কোন শঙ্কা নেই।
Leave a Reply