বাগেরহাট প্রতিনিধ:: বাগেরহাটে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক ও বাচ্চা নষ্ট করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ফাতেমা খাতুন।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ফাতেমা খাতুন।
তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, বাগেরহাট ডিবি অফিসে কর্মরত কনস্টেবল শেখ লিমন (কনেষ্টবল নং ১৪৩১) আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে স্বামী স্ত্রী পরিচয় আমার সাথে দীর্ঘ এক বছর অতিবাহিত করে। এক পর্যায়ে আমি অন্তসত্তা হয়ে পরলে আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে এবং আমাকে অস্বীকার করে।
গত এক বছর আগে বাগেরহাট ডিবি অফিসে কর্মরত কনস্টেবল শেখ লিমন নামে এক ব্যক্তির সাথে আমার ফেসবুকে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তার সাথে আমার প্রতিনিয়ত ফেসবুক মেসেঞ্জারে মাধ্যমে কথোপকথন চলতে থাকে। এরই মাঝে সে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি সরল বিশ্বাসে তার প্রেমে প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই। কিছু দিন পর আমার মা-বাবা আমাদের এই সম্পর্কের কথা জানতে পারে এবং আমার উপর অনেক রাগারাগি করে। বিষয়টি আমি লিমনকে জানালে সে আমাকে বিয়ের কথা বলে। তার আশ্বাসে সরল বিশ্বাসে গত এক বছর আগে বাসা থেকে তাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে বের হই। পরে সে আমাকে সাথে করে নিয়ে বাগেরহাট শহরের সোনাতলা এলাকায় লিমনের এক বোনের বাসায় রাখে। এসময় আমি তাকে বিয়ের কথা বললেই সে নানা অজুহাতে কালক্ষেপন করতে থাকে। এরই মাঝে আমি গর্ভবতী হয়ে পড়ি, তখন বিষয়টি আমি লিমনকে জানালে সে আমাকে বেধড়ক মারপিট ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সে আমাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং আমার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে। এতকিছুর পরও আমি লিমনকে বিয়ের জন্য অনুরোধ করতে থাকি। কিন্তু সে আমাকে বিয়ে করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়, এবং সে আগে থাকতেই বিবাহিত বলে আমাকে জানায়। বিষয়টি জানতে পেরে লিমনের সাথে আমার ব্যাপক কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় লিমন আমাকে মারপিট করলে আমি বাধ্য হয়ে বাগেরহাট আদালতে একটি নারীনির্যাতন মামলা করি। মামলা করার পর থেকে লিমন রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে আমাকে ভয় ভীতি এবং হুমকি দিতে থাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। এক পর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে আমার বড় বোনের কাছে ঢাকাতে চলে যাই। ১৫ দিন পর আমি আবারও বাগেরহাটে চলে আসি।
লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন, এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হায়াত উদ্দিন নামের এক কথিত সাংবাদিক তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই কথিত সাংবাদিক হায়াত উদ্দিন আমাকে ফোন দেয় এবং টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নেয়ার কথা বলে। এছাড়া কিছুদিন পর সোনাতলা এলাকার মৌসুমী ও নেহা নামের দুই নারী আমাকে টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বলে। এতে আমি রাজি না হলে তারা আমাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। এরপর বিষয়টি আমি ডিবির ওসি স্যারকে জানালে তিনি এই ব্যাপারে কোন কথাই শুনতে চান না বলে আমাকে সাফ জানিয়ে দেয়।
প্রতিনিয়ত লিমন ও সাংবাদিক নামধারী। হায়াত উদ্দিন কারণে আমি হেয় প্রতিপন্নের শিকার হওয়ার পাশাপাশি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমন পরিস্থিতিতে আমাকে হয়রানি করার সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
Leave a Reply