বিশেষ প্রতিনিধি:: প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনে যুক্ত হয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ছে, যেখানে শাসনব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে জনগণ রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ন্যায়বিচার ও জনগণের শক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে।
সোমবার ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের সিগনেচার ইভেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “গত বছর বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকারের জন্য তাদের শক্তি পুনরুদ্ধার করেছে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সাহসী তরুণ-তরুণীরা। তাদের দাবিটা ছিল সহজ: ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দাও এবং ন্যায়, অন্তর্ভুক্তি ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে একটি সমাজ গড়ে তোলো।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আজ সেই তরুণরাই আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের কাজে যুক্ত। তারা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ছে, যেখানে শাসনব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে মানুষ রয়েছে।”
বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনে সফলতা তুলে ধরে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ ছোট ভূমির দেশ, আয়তনে ইতালির অর্ধেক হলেও আমরা ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে খাওয়াই এবং ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিচ্ছি। আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিশ্বের শীর্ষ ধান, শাক-সবজি ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। আমাদের কৃষকরা ফসল চাষের ঘনত্ব ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছে এবং ১৩৩টি জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছি।”
তিনি আরও জানান, “কৃষক মেকানাইজেশনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। শক্তিশালী খাদ্য বিতরণব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্যতালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে এবং মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার মাধ্যমে কৃষি আরও সবুজ হয়েছে।”
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের এই বক্তব্যে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের গুরুত্ব, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও খাদ্য নিরাপত্তায় অর্জিত সাফল্যকে তুলে ধরা হয়।
Leave a Reply