স্পোর্টস ডেস্ক:: মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট বরাবরই ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন। রান না হওয়ার দায় এতদিন ছিল এখানকার সাবেক কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার ওপর। সেই দায় ঘোচাতে দায়িত্ব দেওয়া হয় ইংলিশ কিউরেটর টনি হেমিংকে। কিন্তু নতুন কিউরেটরের হাতেও বদলায়নি উইকেটের চরিত্র।
শনিবার মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৪৯ ওভার ৪ বল খেলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০৭ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ / অঙ্কনের অভিষেক, লম্বা সময় পর একাদশে সৌম্য
বাংলাদেশের ইনিংসে একমাত্র উজ্জ্বল দিক ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তিনি করেন ৫১ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান এসেছে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাট থেকে।
ব্যাটারদের কষ্টের বিপরীতে স্পিনাররা পেয়েছেন বাড়তি টার্ন ও বাউন্স, যা সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। অনেকেই ভুল শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন।
ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে ছিল ধারাবাহিক বিপর্যয়। ওপেনাররা শুরু থেকেই চাপে পড়েন। মিডল অর্ডার ব্যাটাররা একপাশে টিকে থাকলেও রান তুলতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত গতিতে। শেষদিকে হৃদয়ের অর্ধশতকই দলের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়।
উইকেটের আচরণে হতাশা প্রকাশ করেছেন সমর্থকেরাও। টনি হেমিংয়ের হাতে নতুন উইকেটে কিছুটা পরিবর্তন আশা করলেও বাস্তবে দেখা গেল পুরোনো চিত্র রানখরা, ধীর গতি ও টার্নিং ট্র্যাক।
Leave a Reply