
চিতলমারী প্রতিনিধি:: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় এনজিও কর্মিদের নিগ্রহের শিকার গৃহবধূ শ্রাবণী রায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফজলুল হকসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার আড়–য়াবর্নি গ্রামে গিয়ে নেতৃবৃন্দ গৃহবধূ শ্রাবণী রায় ও তাঁর তিন বছরের শিশু কণ্যা বৃষ্টি রায়ের খোঁজ-খবর নেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোঃ সেলিমুজ্জামান ঠান্ডা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মাহাবুর মুন্সি, চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাওহিদুর রহমান বাবু, যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ সোহেল সুলতান মানু ও সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম টিপু।
চিতলমারী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফজলুল হক বলেন, ‘আমরা নির্যাতিতা শিশু ও গৃহবধূর পাশে থাকার জন্য এসেছি। ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ তাকে নিগ্রহ করতে না পারে সে জন্য আমরা সজাগ থাকব। যে এনজিও’র কর্মিরা তাকে নির্যাতন করেছে তাদের শাস্তির ব্যাপারে প্রসাশনের সাথে কথা বলব।’
ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখা থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। তাঁর স্বামী রিপন রায় কাজের জন্য এলাকা ছাড়েন। এরপর কয়েকটি কিস্তি খেলাপী হলে গত ২৯ অক্টোবর সকাল ১০ টায় ওই ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর কর্মীরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। অফিসে নিয়ে তাকে ও তার ৩ বছরের কণ্যা শিশুকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে এনজিও কর্মী ও কর্মকর্তারা ফিল্ড থেকে ফিরে বিকেলে জোরপূর্বক শ্রাবণী হীরাকে দিয়ে ২টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বাধ্য করে হাতের আংটি, নাকফুল ও পিতলের বদনা নিয়ে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এ সময় তার শিশুটি ক্ষুধার জন্য ছটফট করছিল। এতদিন ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলতে পারেননি।
এ ব্যাপারে জানতে ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথকে মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
Leave a Reply