
নিজস্ব প্রতিবেদক:: আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে গণভোট। ভোটাররা একটিমাত্র প্রশ্নে চারটি বিষয়ের ওপর ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে মতামত জানাতে পারবেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানান, গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ‘হ্যাঁ’ ভোট হলে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ। এই প্রতিনিধিরা একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।
সংবিধান সংস্কার পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংশোধন সম্পন্ন করবে। সংবিধান সংস্কার শেষ হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে গঠিত হবে সংসদের উচ্চকক্ষ। উচ্চকক্ষের মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুযায়ী সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, গণভোটের প্রশ্নের বিষয়বস্তু হবে: আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫ এবং সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের ক্ষেত্রে মূল বিষয়গুলো: নির্বাচনকালীন প্রতিষ্ঠান: তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
দুই কক্ষের সংসদ: নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চকক্ষ গঠিত হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুমোদন প্রয়োজন।
সংবিধান সংশোধন: সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দলের থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকারসহ ৩০টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
অন্যান্য সংস্কার: জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের মাধ্যমে দেশের ভোটাররা সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবেন।
Leave a Reply