
নিজস্ব প্রতিবেদক:: ঢাকার পুরান অংশে ভূমিকম্পের আতঙ্ক যেন সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিল বংশালের কসাইটুলিতে। পাঁচতলা ভবনের রেলিং হঠাৎ ধসে পড়ে মুহূর্তেই প্রাণ হারালেন তিনজন পথচারী। নিহতদের একজন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র রাফিউল ইসলাম; অন্য দুই জন হাজী আব্দুর রহিম (৪৭) ও শিশু মেহরাব হোসেন রিমন (১২)।
শুক্রবার বিকেলে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনজনের মরদেহ বর্তমানে মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
রাফির পরিবারের পরিস্থিতি আরও হৃদয়বিদারক। তার মা নুসরাত সেদিনই হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের টেবিলে এখনো জানেন না, ভূমিকম্পে তার প্রিয় ছেলেটি পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর ভবনটি প্রচণ্ড দুলতে থাকে। ঠিক সেই সময়ই ভবনের সামনের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে তিন পথচারীকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। মুহূর্তেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক আশিষ বলেন, “ভূমিকম্পের সময় ভবনের রেলিং খুলে পড়ায় ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। আমরা ঘটনাস্থলে আছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে, যা ঢাকার মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসজিএসও একই মাত্রা নিশ্চিত করেছে।
হঠাৎ ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিল পুরনো শহরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো বড় ধরনের বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে যেকোনো সময়।
Leave a Reply