
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী আফগান সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে। চলমান অভিযানে অন্তত ৩০ সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অভিযানটি গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত হওয়ার পর ত্বরান্বিত করা হয়।
শুক্রবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর বরাতে ডেইলি সাবাহ এই তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, নিহতরা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) বা এর সহযোগী সংগঠনের সদস্য। পাকিস্তান অভিযোগ করছে, ভারতের পক্ষ থেকে এসব সন্ত্রাসীদের সমর্থন দেওয়া হচ্ছে।
গত বুধবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররম জেলায় পরিচালিত অভিযানে ২৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় এই অভিযান চালানো হয়েছে। পরবর্তীতে ১৮–১৯ নভেম্বর মহমান্দ, লাক্কি মারওয়াত ও ট্যাংক জেলায় তিনটি পৃথক অভিযানে আরও ৭ সন্ত্রাসী নিহত হন।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিদেশি শক্তির মদদে পরিচালিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পাকিস্তান পূর্ণ গতিতে চালিয়ে যাবে। ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, কাবুল সরকার পাকিস্তানি তালেবানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিচ্ছে। গত সপ্তাহের আদালতপ্রাঙ্গণে আত্মঘাতী হামলাও আফগানিস্তান থেকে পরিকল্পিত হয়েছিল বলে পাকিস্তান দাবি করছে। ওই হামলায় ১২ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসীদের সমর্থনের অভিযোগ বাড়িয়েছে। যদিও ভারত ও আফগানিস্তান উভয়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে তীব্রভাবে অবনতি হয়েছে। গত মাসে সীমান্তে সংঘর্ষে উভয়পক্ষ মিলে ৭০ জনের বেশি নিহত হন এবং সপ্তাহব্যাপী উত্তেজনার পর সীমান্ত বন্ধ হয়ে যায়।
Leave a Reply