
বিশেষ প্রতিবেদক:: রাজধানীর এবার কেয়ার হাসপাতাল এর (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে, বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা: এ জেড এম এম জাহিদ হোসেন। যদিও যাত্রার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন ছিল, তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ফ্লাইট এড়িয়ে গিয়েছে, ফলে লন্ডন যাত্রা বিলম্বিত হয়েছে।
নভেম্বর ২৩-তে দীর্ঘ শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সংক্রমণসহ একাধিক জটিলতায় এভার কেয়ার -এ ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। চিকিৎসা শুরু হলেও তার অবস্থা দ্রুত শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছায় ফুসফুস, হৃদয়, লিভার ও কিডনিতে জটিলতা দেখা দেয়।
চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন ও পরামর্শ অনুযায়ী, উন্নত চিকিৎসা এবং বিশেষায়িত সেবা উপলব্ধ নেই দেশীয় হাসপাতালে। তাই বিদেশে নেওয়ার উপযোগিতা বিষয়ে একমত হন এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ডা. জাহিদ হোসেন ও মেডিকেল বোর্ড একমত হয়, যদি তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়, লন্ডনে নেওয়া হবে। এ জন্য কাতারের পক্ষ থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসা দল, পারিবারিক প্রতিনিধিরা এবং প্রয়োজনীয় ১৪-১৬ সদস্যের মেডিকেল-পরিবার প্রতিনিধি দল প্রস্তুত ছিল। কাতারের রিয়াল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স-সহ যাবতীয় অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন হয়।
তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী রওয়ানা হওয়ার আগে, নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটি’ ধরা পড়ে। এই কারণেই যাত্রা পিছিয়ে যায়।
কাতার সরকারের উদ্যোগে, বিকল্প এয়ার অ্যাম্বুলেন্স (জার্মান কোম্পানির বিমান) ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
শুক্রবার দুপুর ৩:১১ মিনিটে জানানো হয়, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হবে।
তবে শনিবার দুপুর অবধি চিকিৎসকরা বলছেন, তার শারীরিক অবস্থা ‘ শারীরিক অবস্থা কেমন আছে মেডিকেল বোর্ড দেখার পরে লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত’। তবে ‘ক্লাইনিক্যাল কিছু সূচক’ একটু উন্নতি দেখাচ্ছে। এটি বিমানযাত্রার উপযোগী কি না তা যাচাই করতে হবে।
চিকিৎসকরা আশাবাদী, যদি আগামী ৯-১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকে, তাহলে বিমানযোগে লন্ডন যাত্রা সম্ভব হতে পারে।
খালেদা জিয়া হলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও দেশকালের এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনেত্রী। তাঁর বিদেশি চিকিৎসার উদ্যোগ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও জনসচেতনতার মুখেও এসেছে।
বিএনপি ও সমর্থকগণ দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন। চিকিৎসা-দলের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে লন্ডনে নেওয়ার।
শরীরিক জটিলতা: ফুসফুস, হৃদয়, লিভার, কিডনি একাধিক রোগ জটিলতা।
চিকিৎসা দল: স্থানীয় + বিদেশি বিশেষজ্ঞরা; যুক্তরাজ্য ও চীনের চিকিৎসকেরা ইতিমধ্যে ঢাকায় এসেছে। উন্নত মানের চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্স: কাতারের রিয়াল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ; পরে বিকল্প হিসেবে জার্মান কোম্পানির বিমান পাঠানোর উদ্যোগে দলের নেতাকর্মীরা সন্তুষ্ট।
যেখানে এসেছে- চিকিৎসা বোর্ড, পারিবারিক পরামর্শ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সেখানে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। শারীরিকভাবে উপযুক্ত কিনা, বিমানযোগ্য কি না সবই এখনো ‘চিকিৎসা বোর্ডের সিদ্ধান্ত’ অপেক্ষায়।
জনমনে দোয়া, রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ ও চিকিৎসা-বিজ্ঞানে সতর্কতা সব মিলিয়ে এখন ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, এই রূপেই দাঁড়িয়ে রয়েছে খালেদা জিয়া ও তাঁর সঙ্কটে যুক্ত পরিবার, দল ও দেশ
Leave a Reply