1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ারে নেয়া হলো হাদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে গড়াতে পারে, হুঁশিয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাঠে নেমেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা অস্ত্রোপচারের সময় হাদির দুইবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হাদির জনসংযোগে অংশ নেন গুলি করা ব্যক্তি ঘোড়াঘাটে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবগত ইউএনও মতবিনিময় চিতলমারীর বিবাহ নিবন্ধক প্রাণকৃষ্ণ’র পরলোক গমন ডেঙ্গুতে মায়ের সাথে গর্ভে মৃত্যু, সন্তান দেখল না পৃথিবীর মুখ টেকনাফে কোস্টগার্ডের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ইয়াবাসহ কুখ্যাত সন্ত্রাসী আটক যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যা

বেনাপোলে চুরি-ছিনতাই রোধ ও যাত্রী সেবার মানোন্নয়নে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

বেনাপোল প্রতিনিধি:: দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রথম শ্রেণীর কেপিআইভূক্ত বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ঘাটতি, যাত্রী হয়রানি ও চুরি-ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরাপত্তা জোরদার ও সার্বিক কার্যক্রম জোরদার ও তদারকির লক্ষে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি নিরাপত্তা কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) শামীম হোসেন।

সভায় বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) রাশেদুল সজিব নাজিরকে আহ্বায়ক এবং সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-১) কাজী রতনকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক)-১, সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক)-১, সহকারী প্রোগ্রামার, এপিবিএন ক্যাম্প ইনচার্জ, ফায়ার পরিদর্শক, আনসার ক্যাম্প প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তাকে সদস্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক)শামীম হোসেন বলেন, ‘সিসিটিভি মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা নজরদারি করা হয়। কিন্তু বন্দর এলাকায় সব প্রশাসন একসাথে কাজ করলে বেনাপোলকে শক্ত নিরাপত্তা বলয়ে আনা সম্ভব।’

তিনি আরও জানান, চোরাকারবারি ও চেকপোস্ট এলাকায় চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধে টার্মিনালে ম্যাজিস্ট্রেট অফিস স্থাপন করা হয়েছে। যাতে দ্রুত বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করে অপরাধীদের তাৎক্ষণিক সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো যায়।

সভায় বক্তারা সিকিউরিটি গার্ডদের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সবচেয়ে দুর্বল অংশ সিকিউরিটি গার্ডরা। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে চুরি-ছিনতাই বন্ধ হবে না।

স্থানীয় বন্দর ব্যবহারকারী ও যাত্রীরা তাদের সেবা নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, বন্দরে সাধারণ শ্রমিকদের টয়লেট নেই, নামাজের নির্ধারিত জায়গা নেই, যাত্রীসেবার নামে আদায় করা ৬০ টাকা সেবা ফি’র কোনো ব্যবহার তারা পান না, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন প্রশাসনের দখলে থাকায় যাত্রীদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘গরুর খাটালের মতো লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে ক্লান্ত হয়ে মাটিতে বসে পড়তে হয় তাদের। প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের টয়লেট পর্যন্ত ব্যবহার করা যায় না। অপরদিকে প্রতিনিয়ত চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা তো নিত্যদিনের ঘটনা।’

একাধিক সূত্র জানায়, বন্দর এলাকায় চুরি-ছিনতাই ও প্রতারণার বিশাল সিন্ডিকেট সক্রিয়। এ সিন্ডিকেটের কিছু কিছু সদস্যকে পোর্ট থানা পুলিশ আটক করে জেলহাজতে পাঠালেও জামিনে বের হয়ে এসে আবার সেই একই কাজে যোগ দেয় তারা। বহুযাত্রী চলার পথে সর্বস্ব হারিয়েছেন, কয়েকমাস আগে চিকিৎসার টাকা খুইয়ে একজন যাত্রীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।

আলোচনা সভায় যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, এপিবিএন, আনসার ও বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীদের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং, নিয়মিত উপস্থিতি ও বায়োমেট্রিক হাজিরা পর্যালোচনা, বকশিশ, চাঁদা, মাসোয়ারা উত্তোলন বন্ধে সুপারিশ, অগ্নিকান্ড ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সভা করে নিরাপত্তার অগ্রগতি বন্দর পরিচালক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

সভায়, বেনাপোল বন্দর, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন পুলিশ, জেলা পুলিশ, বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থা, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি, সিএন্ডএফ এজেন্টস কর্মচারি ইউনিয়র, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট