1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
রাজধানীর মগবাজারে বোমা বিস্ফোরণে যুবক নিহত লিবিয়ার সেনাপ্রধানসহ ৫ শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে সপরিবারে তারেক রহমান ইতিহাস গড়লেন টাঙ্গাইলের মেয়ে, কোরআন ছুঁয়ে শপথ নিয়ে হলেন বিচারপতি আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই-প্রেস সচিব বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময় ওসমান হাদি হত্যা: মোটরসাইকেল চালকের সহযোগী গ্রেপ্তার কাল টোল ফ্রি থাকবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শুভ বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতি কেসিসি প্রশাসকের শুভেচ্ছা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাৎসরিক টেনিস ও স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

‘চলমান বন্যায় ঝুঁকিতে ২০ লাখ শিশু’

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪
  • ২২৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের চলমান বন্যায় বাড়িঘর, স্কুল ও গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় ২০ লাখেরও বেশি শিশু এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ। বিগত ৩৪ বছরে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এই বন্যায় ৫৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ।

এতে বলা হয়েছে, নজিরবিহীন প্রবল মৌসুমী বৃষ্টিতে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলো উপচে পড়ছে। যার ফলে এখন পর্যন্ত ৫২ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় খুঁজছেন। লাখ লাখ শিশু ও তাদের পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছেন। সরকারি লোকজন ও স্বেচ্ছাসেবকেরা উদ্ধার-অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে কিছু এলাকায় সাহায্য পৌঁছানো বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকার কারণে আগামী দিনে আরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ এমা ব্রিগহাম বলেন, ‘বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের বন্যা শিশুদের ওপর চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনা ও জলবায়ু সংকটের প্রভাবের ভয়াবহতাকে তুলে ধরেছে। অনেক শিশু তাদের প্রিয়জন, ঘর-বাড়ি ও বিদ্যালয় হারিয়েছে এবং সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে গেছে।’

তিনি আরও জানান, বন্যার শুরু থেকেই ইউনিসেফ সক্রিয়ভাবে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও মুখে খাওয়ার স্যালাইনসহ জরুরি সেবাসামগ্রী সরবরাহ করে আসছে। কিন্তু সব শিশুর কাছে পৌঁছাতে এবং শিশুদের ভবিষ্যতের ওপর চলমান এই সংকটের বিধ্বংসী প্রভাব রোধ করতে আরও তহবিলের প্রয়োজন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুর্যোগ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউনিসেফ দুর্গত এলাকায় কাজ শুরু করে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফের সঙ্গে মিলে ইউনিসেফ প্রাথমিক যাচাই পর্ব চালায়। অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে ইউনিসেফ এ পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজার শিশুসহ তিন লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেছে। এসব মানুষের মধ্যে তারা জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন উপকরণ যেমন, ৩৬ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, পানি ধরে রাখার জন্য ২৫ হাজার জেরি-ক্যান এবং দুই লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট (মুখে খাবার স্যালাইন) এর ব্যাগ বিতরণ করেছে। কিন্তু এসবের বাইরেও আর অনেক কিছু করা প্রয়োজন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং শিশুদের জন্য জরুরিভাবে নগদ সহায়তা, নিরাপদ পানীয় জল, স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ (হাইজিন কিট), জরুরি ল্যাট্রিন তৈরি, স্যানিটারি প্যাড, ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট (মুখে খাবার স্যালাইন) এবং জরুরি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের প্রয়োজন। অসুস্থ নবজাতক ও শিশুদের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং গর্ভবতী মায়েরা যেন নিরাপদে তাদের সন্তান জন্ম দিতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় সেবা কার্যক্রম অবিলম্বে চালু করা প্রয়োজন।

ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যা এবং মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই দেশে পূর্বাঞ্চলে বন্যা আঘাত হানে। যৌথভাবে এই তিনটি দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে ৫০ লাখ শিশুসহ সারা বাংলাদেশে এক কোটি ৩০ লাখ বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট